বড়দিন ও বর্ষবরণের উৎসবে হাতছানি দিচ্ছে "ঢেউ সাগর"

সামনে অফুরান ছুটির দিন। বড়দিন থেকে শুরু করে বর্ষবরণের উৎসব আসন্ন। এই সময়টায় অনেকেই কাছেপিঠে ঘুরে আসতে ভালোবাসেন। এছাড়া গোটা শীতকালেই সপ্তাহান্তে ছুটিতে ঘুরাঘুরু পর্ব এখন জলভাত বাঙালিদের কাছে। কিন্তু করোনা আবহে তাতে সামান্য ভাটা পড়েছে এ কথা বলাই বাহুল্য। তবুও একশ্রেণীর পর্যটক অদম্য, তাঁরা নিউ নর্মালেও ঠিক বেরিয়ে পড়ছেন ব্যাগ গুছিয়ে। তাদের কথা ভেবেই রাজ্য সরকার এবং দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ উদ্যোগী হয়েছে পর্যটকদের কাছে এক নতুন উপহার তুলে দিতে। যার নাম "ঢেউ সাগর"। নামটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া।

 

করোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউনের আগেই শুরু হয়েছে কাজ। উদ্যোগের সূচনা বছর খানেক আগে, বেঙ্গল বিজনেস সামিটে অংশ নিতে দিঘায় গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিউ দিঘার কাছেই যাত্রানালা নামে এক জায়গায় যান তিনি। সেখানে একদিকে ঝাউবন, অন্যদিকে একটি নালা বা খাল বয়ে গিয়েছে। আর তার উল্টোদিকে ভাগাড়। সেটির দুর্গন্ধে ওই এলাকায় টেকা দায় ছিল এলাকাবাসীদের। তবে মুখ্যমন্ত্রী সেখানে গিয়ে ঝাউবন ও নয়ানজুলি মিলিয়ে এক বিনোদন পার্ক তৈরির প্রস্তাব দেন। যার নামও তিনি ঠিক করে দিয়েছিলেন "ঢেউ সাগর"। এরপরই রাজ্যের পর্যটন দফতরের সঙ্গে কাজ শুরু করে দেয় দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। লকডাউন শিথিল পর্বে ‘ঢেউ সাগর’কে সাজিয়ে তুলতে বহুমুখী পরিকল্পনা নেয় এই সংস্থা। যদিও এর আগেই ঢেউ সাগর পার্কে পর্যটকদের যাতায়াত শুরু হয়েছিল।  

 


এবার ‘ঢেউ সাগর’ পার্কে তৈরি হচ্ছে পাকাপাকি সাংস্কৃতিক মঞ্চ। সপ্তাহের শেষে শনি এবং রবিবার দু’দিন ধরে বসবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর। একই সঙ্গে পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানো এবং বিনোদনের জন্য ঢেউ সাগর পার্কের ভিতরে বোটিং এবং টয় ট্রেনও চালু করা হচ্ছে। ফলে দিঘার সৈকতে যারা বড়দিন বা বর্ষবরণের আনন্দে গা ভাসতে চাইছেন তাঁদের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে নিউ দিঘার কাছেই এই নতুন বিনোদন পার্ক। ইতিমধ্যেই দিঘা-শঙ্করপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এই পার্কটিকে আলোর মালায় সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা করেছেন। যাতে সন্ধ্যার পর পর্যটকদের কাছে খুলে যায় এক অন্য জগত।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم