বিজেপির বনধে মিশ্র সাড়া উত্তরবঙ্গে

শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ এই শহর। পুলিশের মারে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে বিজেপি। পাশাপাশি তাঁদের বহু কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন বলেও দাবি করে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব। গোটা ঘটনার জন্য পুলিশের দিকেই অভিযোগের আঙ্গুল তোলেন তাঁরা। বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিজেপির ডাকে বনধ পালন করছে বিজেপি। 

 


 

বনধে উত্তরবঙ্গে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বেশিরভাগ জায়গায় স্বতঃস্ফুর্ত বনধ হয়েছে, তবে কিছু কিছু জায়গায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক। স্থানীয়ভাবে কিছু এলাকায় যানবাহণ চলাচল করলেও বন্ধ শিলিগুড়ি-দার্জিলিং যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। শিলিগুড়ির বেশিরভাগ রাস্তাই শুনশান, বন্ধ দোকানপাট। রাস্তায় গাড়িও কম দেখা যাচ্ছে। বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে গোলমাল এড়ানোর জন্য। আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে সরকারি বাস ডিপোতে পিকেটিং করেছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। কয়েকটি জায়গায় জাতীয় সড়কের ওপর টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তাঁরা। 


 

শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধান নগর বাজারে বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্ধকে সমর্থন জানিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা বন্ধ রেখেছেন দোকানপাট। আলিপুরদুয়ারে জায়গায় জায়গায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। সকাল থেকে উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বনধের প্রভাব দেখা গেল, বাজারহাট খোলেনি। জাতীয় সড়কের কিছু লরি চলতে দেখা গেলেও কোন সরকারি ও বেসরকারি বাসের দেখা মেলেনি রাস্তায়। রায়গঞ্জে বাইক মিছিল করে বিজেপি।

 


 ইসলামপুরের বিজেপি নেতৃত্ব ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। মালদা জেলার সরকারি বাস ডিপোতে পিকেটিং করে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বনধ সমর্থনকারীরা। প্রধান বাসস্ট্যান্ডে ফুটবল খেলতেও দেখা গিয়েছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। মালদার রথবাড়ি মোড়, পুরাতন মালদা মঙ্গলবাড়ি এলাকাতেও চলে পিকেটিং ও অবরোধ। পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতেও জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতৃত্ব। অপরদিকে বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টার বনধে সর্বাত্মক প্রভাব জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে। বন্ধ দোকানপাট, যান চলাচল। 


 

কোচবিহারেও সকাল থেকে বন্ধ দোকানপাট, বাজার। চলছে না কোনও বেসরকারি বাস। তবে পুলিশের নিরাপত্তায় উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস চললেও যাত্রী সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। কোচবিহার শহরে সরকারি বাস আটকে দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এর জেরে বিজেপি কোচবিহার জেলা কোষাধক্ষ্য বিরাজ বোস সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ। তবে উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ চা-বাগান খোলা রয়েছে। সকাল থেকেই চা-বাগানগুলিতে কাজ চলছে স্বাভাবিকভাবে। 




Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم