মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজ্য সরকারের নতুন কর্মসূচি ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ শুরু হয়ে গেল। আর প্রথমদিনেই প্রায় তিন লাখের বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিকেলে নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে টুইটও করেন মুখ্যমন্ত্রী। মোট চার দফায় কোন কোন সময়ে ক্যাম্প বসবে সেটাই জানান টুইটে।
GoWB's initiative #DuareSarkar brings govt services at people's doorstep! Happy to see that the camps have started in full-swing.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 1, 2020
These camps will be held 4 times in 4 rounds across WB.
I urge people to get their grievances redressed & avail other services at these camps. (1/3) pic.twitter.com/ngOobzZ19X
এদিন কলকাতা পুরসভার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে দুয়ারে সরকার' অনুষ্ঠানে 'স্বাস্থ্যসাথী স্মার্টকার্ড' তুলে দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। আর সেখানেও ছিল এক চমক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একই নামের এক ৬৮ বছরের ওই স্মার্টকার্ড পান। হালতু পূর্বাচলের ৩ নম্বর বস্তির বাসিন্দা ওই বৃদ্ধার নাম মমতা ব্যানার্জী।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ক্যাম্প চলার কথা। বিভিন্ন জেলা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টে পর্যন্ত পাওয়া খবরের ভিত্তিতে মমতা জানান, প্রথম দিনেই ১ লক্ষ ১৮ হাজার আবেদন জমা পড়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির ক্যাম্পগুলিতে। তিনি বলেন, প্রথম দফায় ১ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্যাম্পগুলি চলবে। পরের দফায় চলবে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তৃতীয় দফায় ক্যাম্প বসবে ২ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর শেষ দফায় ১৮ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে ক্যাম্পগুলি।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বিজেপিকেও বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগে বারবার সরব হন বিজেপি নেতারা, তার জবাবে মমতার সাফ কথা, ‘দুর্নীতি তো দূরঅস্ত, সরকারের টাকায় চা-ও খান না তিনি। তাঁর লেখা বই বিক্রির টাকাই তাঁর আয়ের উৎস বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই নির্বাচনী লড়াইয়ের সুর চড়িয়ে ফের বলেন, ‘বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমি বাংলার মানুষ ছাড়বে না’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলা বললেই বাঙালি হয় না। আমিও গুজরাটি ভাষা বাংলা হরফে লিখে গুজরাটি বলতে পারি। টেলিপ্রম্পটারে সম্ভবই সব। তাই কেউ বাংলা বললেই তা নিয়ে মাতামাতি করার কিছু নেই।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback