পাকিস্তানি এক মানবাধিকার কর্মীর দেহ পাওয়া গিয়েছে কানাডার টরেন্টোয়। তিনি ৩৭ বছরের করিমা মেহরাব বালোচ। সোমবার সকালে জলের মধ্যে পাওয়া যায় তাঁর দেহ। পাকিস্তান থেকে কানাডায় তিনি গিয়েছিলেন শরণার্থী হিসেবে। কী করে এই মৃত্যু জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে সন্দেহজনক কিছু পায়নি তারা। অ্যামনেস্টি সহ অন্য সংগঠন ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছে। চারবছর আগে বিবিসি করিমাকে বিশ্বের সবথেকে প্রভাবশালী মহিলাদের একজন বলে ঘোষণা করেছিল। প্রাণনাশের হুমকির পর তিনি কানাডায় পালিয়ে যান।
এর আগে করিমা নিখোঁজ হয়ে যান। তা পুলিশকে জানানো হয়েছিল। কানাডায় আশ্রয় নেওয়া অন্য পাক রাজনৈতিক শরণার্থীদের অভিযোগ, এই মৃত্যুর পিছনে রয়েছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা। বালোচিস্তানের স্বাধীনতার দাবিতে ছাত্র সংগঠনের কাজে অগ্রণী ছিলেন করিমা। বালোচিস্তানের স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনকারীদের গায়েব করা থেকে খুন করার বহু অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের সরকারের বিরুদ্ধে। কয়েক বছর ধরেই সশস্ত্র বালোচ যোদ্ধারা পাক সেনার সঙ্গে সংঘর্ষ চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে ২ মার্চ সুইডেনে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন নামে আরেক মানবাধিকার কর্মী। দুই মাস পর তাঁর দেহ মিলেছিল সুইজেনের উপসালা শহরে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback