করোনা সচেতনতায় বিয়ের মণ্ডপে শপথ পাঠ

বিয়ের মণ্ডপে শপথ পাঠ করালেন পুলিশ আধিকারিক। এমনই অভিনব ঘটনার সাক্ষী থাকলেন উত্তরপ্রদেশের এক বিয়ের অনুষ্ঠানে আসা অতিথিরা। করোনা সংক্রমণ রুখতে জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন উপায়ে প্রচার করা হচ্ছে সরকারের তরফে। সেই সচেতনতা প্রচারের উদ্দেশ্যেই বিয়ের মণ্ডপে পোঁছে গেছিলেন উত্তরপ্রদেশের বাগেশ্বর জেলার পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট। শুধু বর-বধূই নয় সংস্কৃতে লেখা ওই শপথবাক্য পাঠ করেন অতিথিরাও।

পরিবার সূত্রে খবর, বিয়ের অনুষ্ঠানে করোনা সতর্কতায় সব নিয়ম পালন করা হয়েছে কিনা তা তদারকি করেন এসপি মণীকান্ত মিশ্র। এরপর পুরোহিত মন্ত্র পড়ে বিয়ের কাজ শুরু করেন। পরে মণ্ডপে পুরোহিতের পাশে বসে বর-বধূকে সংস্কৃতে লেখা করোনা সতর্কতার শপথবাক্য পাঠ করান তিনি। বিয়ের মণ্ডপে উপস্থিত সকলকেই ওই শপথবাক্যের প্রতিলিপিও দেওয়া হয়। অবশ্য এই নিয়ে প্রথমে পাত্রীর বাবার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন পুলিশ আধিকারিক। তাতে সম্মতি দেন কনের বাবাও। 

পাত্রীর বাবা জীবন রাম তামতা জানান, 'এসপি নিজে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। করোনা নিয়ে সচেতনতা প্রচারের জন্য খুবই ভাল উদ্যোগ। তাঁদের এই মহৎ উদ্যোগে অসম্মতি জানানোর কোনও প্রশ্নই নেই। আমার মেয়ের বিয়ে আরও স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি সবাইকেই বিয়েতে এই শপথবাক্য পাঠের জন্য উৎসাহ দেব।'    

এসপি মণীকান্ত মিশ্র বলেন,' করোনা সংক্রমণ রুখতে আমাদের প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হচ্ছে। নিজেরা সতর্ক থেকে সব নিয়ম মেনে চললে অবশ্যি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বিয়ের অত্যন্ত পবিত্র একটি অনুষ্ঠান, তাই এই উদ্যোগ। এইরকম অনুষ্ঠানে করোনা সতর্কতায় শপথ পাঠ অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ এবং মানুষের মনে তার প্রভাব অনেকটাই বেশি হয়। সেই উদ্দেশ্যেই আমার এলাকায় এই ধরনের উদ্যোগ নিলাম।'

সংস্কৃতে শপথবাক্য পাঠের বিষয়ে তিনি বলেন,' ব্রাহ্মণ পরিবারে বড় হওয়ার সুবাদে সংস্কৃত চর্চার অভ্যেস রয়েছে। বিয়ের মন্ত্র সংস্কৃতেই পড়া হয়, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই আমি শপথবাক্যে এই ভাষা ব্যবহার করেছি। মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার কথা উল্লেখ রয়েছে এই শপথে। তবে আমি স্থানীয় পুরোহিতদের কাছে আবেদন রাখছি, যাতে বিয়ের সময় তাঁরা বর-কনেকে এই শপথবাক্য পাঠ করান।'

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم