২০২১-এর মার্চে ইরাক সফরে যাবেন পোপ ফ্রান্সিস। ভ্যাটিকানের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০১৯-এর নভেম্বর মাসের পর করোনা পরবর্তী সময়ে এটাই হবে পোপের প্রথম সফর।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী বছর মার্চ মাসের ৫ থেকে ৮ তারিখের মধ্যে পোপ, আব্রাহামের স্মৃতিবিজড়িত বাগদাদ, এরবিল শহর, কারাকোশ ও মসুলের স্মৃতিযুক্ত নিনেভের সমভূমি পরিদর্শন করবেন। তবে এখনও পর্যন্ত সফরসূচির বিস্তারিত কোনও তথ্য না জানলেও আগামীতে সেই বিষয়ে তথ্য দেওয়া হবে এবং করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় সতর্কতাও মেনে চলা হবে বলে জানিয়েছেন ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ।
পোপের এই সফর ঘিরে সবরকম সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ইরাকের বিদেশমন্ত্রক। ইরাকের নাগরিকদের প্রায় ১ শতাংশ মানুষ খৃষ্টান। তবে বিগত কয়েকবছরে ইরাকে আইএসআইএসের উত্থান এবং বিভিন্ন হিংসাত্মক কাজ খ্রিস্টানদের নানা নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। করোনা শুরু হওয়ার আগে সংযুক্ত আরব সহ বেশ কিছু মুসলিম প্রধান দেশ পরিদর্শন করেন পোপ ফ্রান্সিস। তাই পোপের এই ইরাক সফর তাৎপর্যপূর্ণ। ইরাক বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এটি একটি ঐতিহাসিক সফর। পোপের এই সফর বিশ্বের কাছে ইরাকের শান্তির বার্তা পৌঁছে দেবে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহ। ইরাকে খ্রিস্টধর্মের যে সমস্ত ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে, তা সংরক্ষণের বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইরাকে খ্রিস্টানদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেও আলোচনা হয় ওই বৈঠকে।
পোপের ইরাক সফর নিয়ে সোমবার প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহ টুইট করে জানান,'মেসোপটেমিয়া সভ্যতার আস্তানা, আব্রাহামের জন্মস্থানে পোপের এই যাত্রা সব ধর্মের ইরাকবাসীদের শান্তির বার্তা দেবে। পোপের এই বার্তা আমাদের ন্যায়বিচার ও মূল্যবোধের উন্নতিতেও এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।'
His Holiness the Pope will visit Iraq in March 2021. The journey of Pope Francis to Mesopotamia- cradle of civilization, birthplace of Abraham, father of the faithful- will be a message of peace to Iraqis of all religions & serve to affirm our common values of justice & dignity
— Barham Salih (@BarhamSalih) December 7, 2020
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback