‘অচেনা মানুষকে খুন করতে দারুণ মজা’, ধরা পড়ে বললেন সিরিয়াল কিলার

 


সাইকো রাজি, এই নামেই তাঁকে চেনে বিহারের মানুষ। চেনে বললে ভুল হবে, আতঙ্কে থাকে তাঁকে নিয়ে। বয়স মাত্র ২২ বছর, পুলিশের ধারণা এরমধ্যেই অন্তত ১০ জনকে খুন করে ফেলেছে সে। এই সিরিয়াল কিলারকেই সম্প্রতি গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে বিহার পুলিশ। এরপর তাঁকে জেরা করে বিস্ময়ে হতবাক তাবড় গোয়েন্দারাও। কারণ ধরা পড়েও নির্লিপ্ত এই সদ্য কৈশোর পেরোনো এই সিরিয়াল কিলার। নির্বিকার চিত্তেই সে পুলিশকে জানিয়েছে, অচেনা মানুষকে খুন করতে দারুণ মজা পায় সে! 


বিহার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইকো রাজি-র আসল নাম মহম্মদ রাজি। আদতে বিহারের বাসিন্দা এই রাজি দিল্লি, গুরগ্রাম ও বিহারে অন্তত ১০ জনকে খুন করেছে বলেই মনে করছে পুলিশ। গতমাসের ২৩ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে সে তিনটি খুন করে বলে জানতে পারে পুলিশ। এই খুনগুলির তদন্তে নেমেই পুলিশ গুরুগ্রাম থেকে মহম্মদ রাজিকে গ্রেফতার করে বিহার পুলিশ। জানা গিয়েছে, শেষ তিনটি খুনের মধ্যে একজনের মাথা কেটে আলাদা করে দিয়েছিল সে। 


 


কিন্তু কেন এই খুন? বিহার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনা কারণেই খুন করেছে সে, এমনকী যাদের খুন করেছিল তাঁদের কাউকেই সে চেনেই না। পুলিশের কাছে সে স্বীকার করেছে অচেনা মানুষকে খুন করতেই নাকি তাঁর মজা লাগে। পুলিশ ও মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মানসিক বিকারগ্রস্থ মহম্মদ রাজি। সে বিশ্বাস করে, এভাবেই বিখ্যাত হওয়া যায়। তাই তাঁর খুনের কোনও মোটিভ পায়নি পুলিশ। যাদের সে খুন করত, প্রথমে আলাপ জমিয়ে তাঁদের সঙ্গে বসে মদ খেত, তারপর নৃশংসভাবে খুন করে চম্পট দিত। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে খুন করার পর তাঁদের টাকাপয়সাও হাতিয়ে নিত সে। 

‘সাইকো রাজি’ পুলিশকে জানিয়েছে, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই ব্যাপারটা বুঝতে পারিনি। সবাই খালি বলত, তুই দুর্বল। তোর দ্বারা কিছু হবে না। তাই আমি দুনিয়াকে দেখিয়ে দিতে চেয়েছিলাম আমি কী পারি’। পুলিশের ধারণা, দশটির বেশি খুন করে ফেলেছে মহম্মদ রাজি। তাঁকে জেরা করে প্রতিটি খুনের হদিশ পেতে চাইছে পুলিশ। আর এহেন ভয়ানক খুনির পরিচিতরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না যে মহম্মদ রাজি এতটা নৃশংশ।

 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم