শেষ পর্যন্ত খাঁচাবন্দি সুন্দরবনের মানুষখেকো বাঘ। লকডাউনের পর থেকে ওই বাঘের হামলায় মৃত্যু হয় ১৮ জন মৎস্যজীবর। এমনকী সুন্দরবন এলাকায় কাঁকড়া ধরতে যাওয়া ধীবরদের ওপরও বেশ কয়েকবার আক্রমণ করেছিল সেটি। স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন গ্রামবাসী। কিভাবে বাঘটিকে বাগে আনা যায় তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন বনদফতরের অধিকারিকরাও।
বনদফতর সূত্রে খবর, বাঘটিকে ফাঁদে ফেলতে গোসাবা ও বসিরহাট রেঞ্জের হরিখালি জঙ্গলে একটি খাঁচা পাতা হয়। তাতে টোপ হিসেবে রাখা হয়েছিল একটি ছাগল। মঙ্গলবার বাঘটি শিকার করতে আসলে খাঁচায় আটকা পরে যায়। দেখা যায় সেটি আট বছরের পূর্ণবয়স্ক একটি বাঘ। তবে বাঘটির দাঁত ক্ষয়ে গিয়েছে। আধিকারিকদের ধারণা, এর ফলেই বাঘটির শিকার করার সমস্যা হত। তাই থাকায় হাতের নাগালেই কাঁকড়া ধরতে আসা ধীবরদের উপর আক্রমণ করত সেটি। বাঘটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য সেটিকে ঝড়খালি মিনিজুতে রাখা হয়েছে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback