ভারতীয় চলচিত্রে বহু অভিনেতা এসেছেন কিন্তু কেউ রাজ কাপুর হতে পারেননি। রাজ কাপুরের সিনেমা, অভিনয়, প্রযোজনা, পরিচালনা থেকে খানাপিনা, নায়িকাদের সাথে প্রেম, রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক, কমিউনিস্ট পার্টি করা সব মিলিয়ে এমন রঙিন চরিত্র পাওয়া বিরল। জন্ম পাকিস্তানের পেশোয়ারে হলেও ছেলেবেলা কাটে কলকাতায়। বাবা পৃথ্বিরাজ ছিলেন উচ্চ শিক্ষিত কিন্তু তিন ছেলের কারওরই পড়াশুনা বেশি হয়নি। কলকাতায় থাকাকালীন তাঁদের বাড়িতে সিপিআইয়ের বহু নেতার আনাগোনা ছিল। ভারতীয় গণনাট্য সংঘের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন পৃথ্বিরাজ। বাবার সাথে সাথে খুব ভালো বাংলা বলতে পারতেন রাজ।
এরপরই তাঁরা সপরিবারে চলে যান মুম্বইয়ে। ধীরে ধীরে সিনেমা জাগাতে প্রবেশ রাজ সহ তিন ভাইয়ের। ততদিনে পৃথ্বি জমি তৈরি করে ফেলেছিলেন ফিল্মজগতে। রাজ খুব দ্রুত প্রযোজনা এবং পরিচালনার কাজে অভিনয়ের সাথে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর জীবনের ৯০ শতাংশ ছবিই বাম মনোভাব থেকেই তৈরি করেন এবং প্রতিটি ছবিতে পিয়ানো অ্যাকোর্ডিয়ান ব্যবহার করতেন স্রেফ রাশিয়াতে ছবি চালাবেন বলে। জীবনে বহু ঝুঁকি নিয়ে ছবি করেছেন কিন্তু মেরা নাম জোকার করে পথে বসে গিয়েছিলেন আবার একদম অনামী অভিনেতা নিয়ে পরের ছবি ববি বানিয়ে ফের কোটিপতি হয়েছিলেন। খুব দুঃখ করে ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছিলেন সমাজতন্ত্র বিষয়টিই মানুষকে বোঝাতে পারলাম না।
সোমবার তাঁর জন্মদিন। এইদিনে সারাদিনের মধ্যে একবার তাঁর পিয়ানোয় সুর তুলতেন। তারপর সন্ধ্যা থেকে ডুবিয়ে দিতেন সুরা আর সুরের টানে .... দোস্ত দোস্ত না রহা, প্যার প্যার না রহা .... হয়তো স্মরণ করতেন চিরকালের তাঁর হারিয়ে যাওয়া প্রিয়া নার্গিসকে |
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback