কেক ছাড়া ক্রিসমাস ভাবা যায় না, কিন্তু জানেন কি এই ক্রিসমাস কেকের উৎপত্তি কোথা থেকে? এই কেকের সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে এক মজাদার ইতিহাস। ইউরোপে প্রথম রোমান সম্রাট কনস্টানটাইনের আমলে ৩৩৬ সালে প্রথম ক্রিসমাস বা বড়দিন পালন করা হয়। কিন্তু সেইসময় কেক খাওয়ার রেওয়াজ ছিল না। ব্রিটিশদের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল এই জিভে জল আনা ব্যাপারটা। তবে প্রথমে যখন এই রেওয়াজ শুরু হয় তখন খাওয়া হত প্লাম পরিজ। কেক এসেছে অনেকটাই পরে। ক্রিসমাসের আগের দিন সবাই উপবাস করতেন। এত সময় খালি পেটের পর প্রথমেই ভারি কোনও খাবার খেলে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকত। তাই এই প্লাম পরিজ খেয়েই ক্রিসমাসের উপবাস ভাঙতেন ইংরেজরা।
এরপর এই পরিজের থেকেই ক্রমে বিবর্তন হয়ে এসেছে কেক। গোড়ার দিকে পরিজের মিশ্রণে শুকনো ফল, মশলা ও মধু মিশিয়ে ক্রিসমাস পুডিং তৈরি করা হয়। পরবর্তী কালে প্রায় ১৬ শতক নাগাদ এই পুডিংয়ে ওটমিলের বদলে মাখন, ডিম ও ময়দা ব্যবহার শুরু হয়। ফলে সহজেই তৈরি করা যেত প্লাম কেক। এছাড়া যে সব পরিবারের কাছে ওভেন ছিল, তাঁরা ইস্টারের জন্য অ্যালমন্ড সুগার পেস্ট ব্যবহার করে ফ্রুট কেক বানাতে শুরু করেন। আর ক্রিসমাসের জন্য বানানো কেকগুলিতে শুকনো ফল ও মশলা ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে এটিই ক্রিসমাস কেক হিসেবে পরিচিত হয়।ব্রিটিশদের এই ট্র্যাডিশনাল ক্রিসমাস কেকের ভেতরে রামে ভেজানো কারেন্টস ও কিশমিশ ব্যবহার করা হত।
বর্তমানে শুধু ব্রিটিশদের ট্র্যাডিশনাল কেকই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানা ধরণের কেক তৈরি হয় ক্রিসমাস উপলক্ষে। ইতালিতে প্যানেটোন নামে এক বিশেষ ধরনের কেক বানানো হয় এই সময়। স্কটিশ ক্রিসমাস কেকটির নাম হুইস্কি ডান্ডি, এই কেকটি স্কটিশ হুইস্কি দিয়ে তৈরি।
ফ্রান্স ও লেবাননের ক্রিসমাস কেকে কোনও ফল থাকে না। এটিকে বুশ ডি নোয়েল বলা হয়। জার্মানে এই ফ্রুটকেকই স্টোলেন নামে জনপ্রিয়। এছাড়া ইংল্যান্ডে ইউল লগ বা চকোলেট লগ কেক খাওয়ারও রেওয়াজ রয়েছে ক্রিসমাসে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback