শাসকদলের সঙ্গে শুভেন্দুর তরজার মাঝেই নতুন বিতর্ক। এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতির সরকারি দেহরক্ষী প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য সরকার। তিনি শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। ঠিক কী কারণে তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সরিয়ে নেওয়া হল সেটা নিয়ে জানা যায়নি যদিও। অন্ধকারে অমূল্য মাইতিও।
তবে কি শুভেন্দু ঘনিষ্ঠতার জেরেই তাঁর ঘাড়ে কোপ পড়ল? জোর জল্পনা শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। শুভেন্দু মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরই রাজ্য রাজনীতিতে নতুন নতুন সমীকরণ সামনে আসছে। সেইসঙ্গে জন্ম নিচ্ছে নানা জল্পনারও। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ এক নেতার বাড়িতে হামলা হয়। ওই হামলার নেপথ্যে অমূল্য মাইতি সরাসরি তৃণমূল সাংসদ মানস ভুঁইঞার ঘনিষ্ঠ এক নেতার দিকেই আঙুল তোলেন। এরপরই তিনি শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বের রোষানলে পড়েন বলেই কানাঘুঁষো চলছিল। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল বলে মনে করছেন অমূল্য মাইতির ঘনিষ্ঠরা।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে দুজন দেহরক্ষী পেতেন অমূল্য মাইতি। দেহরক্ষী তুলে নিলেও অমূল্যবাবুর দাবি তিনি কোনও চিঠি হাতে পাননি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, আমি শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ কিনা জানি না। তবে আমি শুভেন্দু অধিকারীর শুভানুধ্যায়ী। অধিকারী পরিবারের সঙ্গে আমার গত ৪০ বছর ধরে সম্পর্ক রয়েছে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback