এবার রাজীবের নামেও পোস্টার-ব্যানার জেলায় জেলায়, অস্বস্তিতে তৃণমূল


আমরা দাদাকে ভালোবাসি, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রতীক, আমরা দাদার সেবক, আমরা দাদার ভক্ত, আমাদের অনুপ্রেরণা দাদা, আমরা রাজীবপন্থী, অন্যায় যেখানে প্রতিবাদ সেখানে, স্লোগানগুলি কার উদ্দেশ্যে নিশ্চই বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না? সোমবার সকাল থেকেই জেলায় জেলায় রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীদের পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গিয়েছে। 

 

বিশেষ করে, তাঁর নিজের জেলা হাওড়ায়। হাওড়া ময়দান, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নবান্ন বিভিন্ন জায়গার দেখা গিয়েছে এই পোস্টার ও ফ্লেক্সগুলি। নদিয়ার রানাঘাট, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত সহ কলকাতার আরও কয়েকটি অঞ্চলে রাজীবের সমর্থনে পোস্টার দেখা গিয়েছে। পরপর দু’দিন এই ধরনের পোস্টার দেখা যাওয়ায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 


পাশাপাশি নতুন করে উত্তাপ দেখা গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। একদিকে শুভেন্দু অন্যদিকে রাজীব, সবমিলিয়ে চরম বিড়ম্বনায় শাসকদল। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলের আশেপাশে ছেয়ে গিয়েছে শুভেন্দুর সমর্থনে পোস্টারে। অন্যদিকে রাজ্যের কয়েকটি প্রান্তে রাজীবের পোস্টার। শুভেন্দুর পর বনমন্ত্রী রাজীবও নাম না করেই তোপ দেগেছিলেন দলের শীর্ষনেতাদের উদ্দেশে। যদিও বিষয়টি পাত্তা দিতে নারাজ শাসকদলের নেতারা। 


 

 

হাওড়ার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের আরেক মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছেন, ‘এজেন্সিকে পয়সা দিলে সারা শহর জুড়ে, রাজ্য জুড়ে, সারা দেশ জুড়ে ব্যানার লাগানো যায়। কে কী ব্যানার লাগাল তাতে কিছু আসে যায় না। আমার কাজটাই আসল। প্রথম দিন থেকে দল করে আসছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছি’। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, এতে শাসকদলের কোন্দল প্রকাশ্য হয়ে পড়ছে। যা বিধানসভা নির্বাচনে যথেষ্টই প্রভাব ফেলবে। 

 

অপরদিকে একাংশের মতে, এভাবে একের পর এক তৃণমূল নেতা দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় জনমানসে বিরুপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে। পুরো বিষয় নিয়ে অবশ্য সেভাবে মুখ খোলেননি তৃণমূল নেত্রী। সোমবার সভা থেকে তিনি এই বিষয়ে কিছু প্রতিক্রিয়া দেন কিনা তার দিকেই তাকিয়ে বাংলার মানুষ।



Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم