ভয়াবহ দুর্ঘটনাগুলি


করোনার মতো বিশ্বজোড়া বিপর্যয়ের মধ্যেও ২০২০ সালে বারবার শিরোনামে এসেছে অনেক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার খবরও। 

কালিকটে বিমান দুর্ঘটনা

রানওয়ে থেকে বেরিয়ে গিয়ে আছড়ে পড়েছিল বিমানটি। ৭ আগস্টের ঘটনা। কেরলের কালিকট বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানটি আসছিল ১৯০ যাত্রীকে নিয়ে। বিমানচি বিমানবন্দ্র থেকে দূরে হিয়ে আড়ে পড়ে ৩৫ ফুট গভীর মাটিতে, ভেঙে টুকরো হয়ে যায়। মারা যান ২১ জন। নিহতদের মধ্যে পাইলট, কো পাইলটও ছিলেন।

করাচির বিমান দুর্ঘটনা 

২২ মে পাকিস্তানের যাত্রীবাহী একটি বিমান ভেঙে পড়ে করাচি বিমানবন্দরের কাছে। মারা গিয়েছিলেন ৯৭ জন। জিন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে একটি আবাসিক এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার মূলে ছিল মানবিক ত্রুটি। 

বেইরুটে বিস্ফোরণ

আগস্টে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল লেবাননের রাজধানী বেইরুট। প্রায় গোটা শহরই ধ্বংস হয়ে যায়।বন্দরের কাছে ৩ হাজার টন বিস্ফোরক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুত রাখা একটি গুদামে এই বিস্ফোরণ হয়। অন্তত ২০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। 


সারকোজি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা

২৬ জানুয়ারি বাস্কেটবল তারকা কোবে ব্রায়ান্ট, তাঁর ১৩ বছরের কন্যা, আরও সাতজন দু ইঞ্জিনের সারকোজি এস-৭৬বি হেলিকপ্টারে উড়ছিলেন। ঘন কুয়াশার মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলিসের পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা মেরে টুকরো হয়ে যায় সেটি। মারা গিয়েছিলেন সব যাত্রীই।

ক্যালিফোর্নিয়ার পার্টিতে আগুন

আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার একটি পার্টি থেকে ছঢ়িয়ে পড়ে ভয়াবহ দাবাগ্নি। পার্টিতে যে পাইরোটেকনিক যন্ত্র ব্যবহৃত হয়েছিল, আগুন ছড়ায় তা থেকেই। তাতে ১০ হাজার একরেরও বেশি বনভূমি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন নেভাতে হিমসিম খেতে হয় দমকলকে।

দক্ষিণ কোরিয়ার অগ্নিকাণ্ড

একটি নির্মাণ এলাকায় আগুন লেগে এপ্রিলে মারা যান ৩৮ জন, আহত আরও ১০। ইঞ্চয়ন শহরে  ১০ এপ্রিলের ঘটনা। সেখানে একটি গুদাম তৈরির কাজ চলছিল। নিহতদের বেশিরভাগই মারা গিয়েছিলেন কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসে। 

পাঞ্জাবের বিষমদ কাণ্ড

২৯ জুলাই বিষ মদ খেয়ে মারা যান অন্তত ১০০ জন। শুধুমাত্র তরণতারণেই মারা গিয়েছেন ৮০ জন। বাটালা ও গ্রামীণ অমৃতসরে মারা যান ১২ জন করে।

চিনের খনি দুর্ঘটনা

চিনের চোংকিং শহরের একটি খনিতে আটকে পড়ে মারা গিয়েছিলেন ২৩ জন। খনিতে জমে থাকা কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসেই দমবন্ধ হয়ে মারা যান তাঁরা। বেঁচে গিয়েছিলেন মাত্র ১ জন। 


ইউক্রেনের বিমান দুর্ঘটনা

সেপ্টেম্বরে উত্তরপূর্ব ইউক্রেনে সেনা ক্যাডেট বোঝাই বিমানবাহিনীর বিমান ভেঙে মারা গিয়েছিলেন ২৬ জন। বিমানে ছিলেন ২৭ জন। তাদের ৭ জন ক্রমী ও ২০ জন শিক্ষার্থী। আন্তোনোভ এএন-২৭ বিমানটি নামার সময়ই দুর্ঘটনায় পড়েছিল। 

অসমের তৈলকূপে আগুন

অসমের তিনসুকিয়ার বাঘজানে ৯ জুন ভয়ঙ্কর আগুন লাগে। মারা যান দুইজন। আশপাশের বহু গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যাপক ক্ষতি হয় পরিবেশের। সেখানে অনেকদিন ধরেই তেল চুঁইয়ে পড়ছিল। সেখান থেকেই বিস্ফোরণ হয়। ১৬১০ পরিবারকে অন্যত্র সরাতে হয়েছিল। এখনও সেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। 





Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم