শাহিনবাগ থেকে সিংঘু

এবছরটা ভারতে বিক্ষোভের বছর। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বছরের গোড়ায় তোলপাড় হয়েছিল দেশ। তারই সূত্রে শাহিনবাগের দীর্ঘ অবস্থান ও দিল্লির রক্তক্ষয়ী হিংসা। ২৪ ফেব্রুয়ারি আইনের পক্ষে আর বিপক্ষের সমর্থকরা জড়িয়ে পড়েছিলেন সংঘর্ষে। কম করেও ৫৩ জন মারা গিয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন আরও ২০০ জন।

এনআরসি, সিএএ বিরোধী আম্দোলন দেশজুড়েই ব্যাপক সমর্থন পেয়েছিল। প্রায় সর্বত্র রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। তবে নজর কেড়েছিল দক্ষিণ দিল্লির শাহিনবাগ। বলতে গেলে গোটা দুনিয়াতেই চর্চা হয়েছিল শাহিনবাগের আন্দোলন নিয়ে। তা ছড়িয়ে পড়ে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়েও। দিল্লি পুলিশ ছাত্রনেতা উমর খালিদ ও শারজিল আমেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা। 

এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায় ক্রমে থিতিয়ে আসে আন্দোলন। তবে এরাজ্য আর অসমের ভোটের আগে ফের এই আন্দোলন মাথাচাড়া দিতে পারে এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও কেন্দ্রের তরফে আর আগের মতো সেই তোড়জোড় এখন আর নেই।

তবে এরই পাশাপাশি বছরের শেষদিকে সরকারের নতুন মাথাব্যথা কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের গণ আন্দোলন। তা সামলাতে রীতিমতো হিমসিম কেন্দ্র। অনড় চাষিরা। রোজই দিল্লির সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছেন তাঁরা। কেন্দ্রের সঙ্গে পরপর বৈঠকেও কোনও সুরাহা হয়নি। বিভিন্ন রাজ্য থেকে কৃষকরা রোজই জমায়েত হচ্ছে দিল্লির সিংঘু সীমান্ত। সিংঘু এখন আরেকটা শাহিনবাগ। 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم