১১ বছর পর জুনিয়ার মৃধা খুনের কিনারা, গ্রেফতার প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী

জুনিয়র মৃধা খুনের ঘটনায় প্রায় ১১ বছর পর মূল অভিযুক্ত প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে গ্রেফতার করল সিবিআই। প্রিয়াঙ্কাকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে তাকে সাতদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই প্রভাবশালী যোগের কথা উঠে এসেছে। এবার প্রিয়াঙ্কা গ্রেফতার হওয়ায় ঘটনায় জড়িত ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির খোঁজও মিলবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে ১১ বছর পরে সত্যিকারের বিচার পেয়ে খুশি জুনিয়ারের বৃদ্ধ মা ও বাবা। তাঁরা জানান, ছেলে জুনিয়ারকে আর হয়ত ফিরে পাবে না ঠিকই, কিন্তু সবার চোখের আড়াল থেকে আসল খুনি গ্রেফতার হওয়ায় খুশি।


২০১১ সালে ১২ জুলাই বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের ব্রিজের কাছে জুনিয়র মৃধার দেহ উদ্ধার করে বরানগর থানার পুলিশ। বেলঘড়িয়া দেশপ্রিয় নগরের বাসিন্দা জুনিয়র মৃধা পেশায় সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। জানা যায়, তাঁর সঙ্গে সনামধন্য খেলোয়ার বলরাম চৌধুরীর প্রাক্তন পুত্রবধূ ও বিখ্যাত মডেল প্রিয়াঙ্কা চৌধুরির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, পথ দুর্ঘটনায় জুনিয়ারের মৃত্যু হয়েছে।কিন্তু ময়নাতদন্তের সময় দেখা যায়  তাঁর পিঠের শিরদাঁড়া থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তলের একটি গুলি পাওয়া যায়। এরপরেই তদন্তের মোড় অন্যদিকে ঘুরে যায়। বরানগর থানা থেকে তদন্তের ভার নেয় সিআইডি।
শুরু হয় একের পর এক জেরা। জুনিয়র মৃধার মোবাইলের কললিস্ট থেকে প্রিয়াংকার নম্বর পান তদন্তকারীরা। প্রিয়াংকাকেও জেরা শুরু করে সিআইডি। কিন্তু তদন্ত বেশ কিছুদিন চলার পরই তা ধামাচাপা পড়ে যায়। এরপরে জুনিয়ারের বাবা-মা ২০১৮ সালে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালত জুনিয়ার মৃধার খুনের মামলার তদন্তের ভার দেন সিবিআইকে।এরপরেই তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পারে ১২ জুলাই জুনিয়ারের ফোনে রাত ৮টা থেকে ১০ টা অবধি মোট ২০ বার ফোন করা হয় প্রিয়াংকার মোবাইল থেকে। এরপরে সিবিআইয়ের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রিয়াংকাকে। চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্রিয়াঙ্কাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।  প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে 279, 304 a, 302 ধারায় মামলা করা হয়েছে। আগামি ১২ তারিখ ফের আদালতে তোলা হবে। 



 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم