একুশের ভোট বাংলায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে কোমর বাঁধছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার দ্বিতীয় দফায় রাজ্য সফর করলেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। এর আগে ডিসেম্বর মাসেই দলবল নিয়ে বাংলায় এসেছিলেন তিনি। এবার কলকাতায় এসে দিনভর বৈঠক করেছেন রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বৈঠকগুলি থেকে তিনি কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের। সূত্রের খবর, তিনি কার্যত ব্যারাকপুর নিয়ে বেশি চিন্তিত ছিলেন। তাই ব্যারাকপুর ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারের নানা প্রশ্নবানে বিদ্ধ করেছেন।
ব্যারাকপুরের সিপি মনোজ ভার্মাকে বিগত ছয় মাসের নয়, বরং গত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই ব্যারাকপুরের রাজনৈতিক হিংসা ও অপরাধের তথ্য তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। লোকসভা ভোটের পর এতদিনেও ব্যারাকপুর অশান্ত কেন সেই প্রশ্নও তোলেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। পাশাপাশি আরও জানা যাচ্ছে, ভোটের কাজে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করতে নারাজ কমিশন। এবার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনও গাফিলতির অভিযোগ এলেই সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের অপসারণ করা হবে, শো কজের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করবে না নির্বাচন কমিশন। উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন বুধবারের বৈঠকে এমনিই কড়া বার্তা দিয়ে গেলেন বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের ঢের আগে থেকেই বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে সরব বিরোধী দলগুলি। এরআগে দিল্লি গিয়ে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে দরবার করে এসেছে। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, রাজ্যপাল বিভিন্ন সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। সেগুলিও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন। আরও জানা যাচ্ছে, বাংলায় অবাধ ভোট করতে এবং করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে বুথের সংখ্যা বাড়তে পারে। এমনকি ভোটগ্রহণের দফাও এবার বাড়তে পারে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, এবার আরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। মনে করা হচ্ছে অনেক আগেই এবার রাজ্যে চলে আসবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback