আসানসোল ও মালদায় দুই বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতি। রোজই কোনও না কোনও অঞ্চল থেকে গোলমাল বা সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। রবিবার রাতেও দুটি ঘটনা রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়ে দিল। আসানসোল ও মালদায় দুই বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে চলল গুলি। যদিও আসানসোলের বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় অল্পের জন্য রক্ষা পান, তিনি বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য। অপরদিকে মালদা জেলার বিজেপি নেতা সাদেক আলির হাতে গুলি লেগেছে। তিনি মালদা মেডিকেল কলেজে ভর্তি। এই দুটি ঘটনাতেই অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ উঠছে। কলকাতা থেকে আসানসোলের হিরাপুর থানার এলাকায় নিজের বাড়িতে ঢোকার সময় দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। যদিও বরাত জোরে বেঁচে যান তিনি। গোটা ঘটনা সিসিটিভিতে ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ওই ফুটেজ দেখেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কৃষ্ণেন্দুবাবুর দাবি, তাঁকে খুন করে এলাকায় বিজেপির সংগঠনকে দুর্বল করতেই এই হামলা। 

অপরদিকে মালদায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সাদেক আলির উপর হামলা চালানো হয়।  তার লক্ষ্য করে তিনটে গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। সাদেক আলিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্থানীয় বিজেপির দাবি, ওই এলাকা থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শামসুল হক, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেলিনা বিবি এবং এলাকার তৃণমূল নেতা  মহব্বত আলির নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে অবিলম্বে আন্দোলনে নামবে হলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতারা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুখুরিয়া থানার পুলিশ। যদিও দুটি ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم