অবশেষে মুখ খুললেন শতাব্দী রায়। বৃহস্পতিবার আচমকাই তাঁর ফেসবুক ফ্যানস পেজে একটি পোস্ট ঘিরে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছিল। এরপর তাঁর প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও শুক্রবার সকালে সিএন নিউজকে দেওয়া টেলিফোন সাক্ষাৎকারে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, ‘এলাকার সাংসদ হিসেবে মানুষের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু বিগত সময়ে তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। নিজের সংসদীয় এলাকায় যেতেও তাঁর সমস্যা হচ্ছিল’। তিনি যে শনিবারই দিল্লি যাচ্ছেন সেটাও অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন। দিল্লিতে তিনি ব্যক্তিগত কারণেই যাচ্ছেন সেটাও বলেছেন। তবে সেখানে অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করবেন না সেটাও উড়িয়ে দেননি বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ।
তাঁর দাবি, ‘আমি শনিবার সকালেই দিল্লি যাচ্ছি। সেখানে বন্ধু, আত্মীয়-পরিজনরা রয়েছেন। তাদের সঙ্গে দেখা হবে। স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক থাকে। তিনবারের সাংসদকে দিল্লি যেতে কারণ বলতে হবে? ওটাই তো এখন আমার ঘরবাড়ি’। আবার অমিত শাহ প্রসঙ্গে তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘পরিচিত কিছু মানুষদের সঙ্গে দেখা হতেই পারে। তবে সেটাকে বৈঠক বলা ভুল হবে’।
শতাব্দী রায় এদিন বলেন, বিগত ১০ বছরে সাংসদ হিসেবে বারেবারেই আমি প্রমাণ করেছি আমি কাজ কাজটা সঠিকভাবে করেছি এবং এলাকায় নিয়মিতভাবে গেছি। এরপরই তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বলেন, এলাকায় ঘোরাঘুরির স্বাধীনতা তাঁর নেই। ফলে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হচ্ছে সাংসদ হিসেবে। উদাহরণ হিসেবে তিনি তুলে ধরলেন, ‘আমি একটা হিট সিনেমা করলাম, অথচ সিনেমা হলে সেটি চলতে দিলেন না তবে কেমন হয়’। তিনি এও বলেন, গতবার এমপি ল্যাডের টাকা খরছে গোটা দেশের নিরিখে তৃতীয় ছিলেন এবং সংসদে উপস্থিতিতে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। ফলে তিনি সাংসদ হিসেবে কতটা অ্যাক্টিভ সেটা আর বলে বোঝাতে হবে না। অপরদিকে জানা যাচ্ছে, বীরভূমের সাংসদ হিসেবে তিনি রামপুরহাট-তারাপীঠ উন্নয়ন পর্যদের সদস্য রয়েছেন। তিনি দুবার সেই পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে চিঠিও দিয়েছিলেন, কিন্তু সেটা গৃহীত হয়নি।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback