করোনা আবহে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। করোনা বিধি মেনে মেলার আয়োজন হচ্ছে কিনা তা নিয়ে একধিকবার রাজ্য সরকারের কাছে জবাব তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট। দফায় দফায় শুনানির পর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সরকারের রিপোর্টে আশ্বস্ত হলেও ই-স্নানেই জোর দিক প্রশাসন। আগামী ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্টে মেলা নিয়ে চূড়ান্ত শুনানি রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার আনুষ্ঠানিক সূচনা হল গঙ্গাসাগর মেলার। এদিন সাগরের সার্কিট হাউস চত্বরে মেলার উদ্বোধন করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি, সাগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, (G.B.D.A চেয়ারম্যান), স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এবছর গঙ্গাসাগর মেলায় কতজন তীর্থযাত্রী আসবেন সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব না। তবে করোনা অতিমারীর জন্য পূণ্যার্থীর সংখ্যা কম হবে বলে মনে করছেন সবাই। স্বাস্থ্যবিধি মাথায় রেখে এবছর প্রশাসনের তরফে বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে ই-দর্শন ও ই-স্নানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাগরে না নেমে পুণ্যার্থীরা মেলার কিয়স্ক থেকে পাত্রে ভরা জলেই স্নান করতে পারবেন। এছাড়া বাড়িতে বসে অনলাইনেই অর্ডার করলে তিনদিনের মধ্যে গঙ্গাজল, প্রসাদ সহ সমস্ত সামগ্রী প্যাকেটের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে পুণ্যার্থীদের কাছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, গঙ্গাসাগর মেলার জন্য বাড়তি ভেসেল, বাস, ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলা চত্বরে লাগানো হয়েছে বাড়তি আলো। প্রশাসন ঠিকমতো নির্দেশ পালন করেছে কিনা সে ব্যাপারে কড়া নজরদারি রাখছে আদালত। তার ওপরই নির্ভর করছে মামলার রায়। নিজেদের ভাবমূর্তি বাঁচাতেই কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ। এদিকে ১৪ জানুয়ারি সকাল থেকেই শুরু হবে পুণ্যস্নান। ১৩ তারিখ যদি হাইকোর্ট মেলা বন্ধের নির্দেশ দেন, সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে তুলেছেন অনেকে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback