কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে সোমবার সপ্তম দফার বৈঠকে বসছে কেন্দ্র। কৃষি আইন বাতিল এবং ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে প্রধানত কথা হবে এই বৈঠকে। এরই মাঝে রবিবার হরিয়ানায় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে আন্দোলনরত কৃষকদের। তাঁরা রেওয়ারি-আলোয়ার সীমান্তে জড়ো হয়ে কর্ডন ভেঙে দিল্লির দিকে এগোতে চাইছিলেন। তাঁদের ঠেকাতে মাসানিতে পুলিশকে বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয়েছে। এর আগে নভেম্বরে কৃষকদের মিছিল আটকাতে হরিয়ানা পুলিশ জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছিল। পাঞ্জাবের সাঙ্গরুরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি অশ্বিনী কুমারের সভার দিকে যেতে চেষ্টা করলে পুলিশকে লাঠি চালাতে হয়।
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত ৩৯ দিন প্রবল ঠান্ডা, ঝড়জল উপেক্ষা করে হাজার হাজার কৃষক দিল্লির সীমান্তে বসে রয়েছেন। শনি ও রবিবার বৃষ্টির মধ্যেও জায়গা ছাড়েননি তাঁর। তারই মধ্যে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার দাবি করেছেন, কৃষকদের চারটি দাবির দুটিতে দুই পক্ষই সহমত হয়েছে। বিদ্যুৎ আইন বাতিল ও ফসলের নাড়া পোড়ানোয় শাস্তি রদ করার দাবি মানা হয়েছে। তবে মূল দুটি দাবি, তিনটি কৃষি আইন বাতিল ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি বৈধতার দাবিতে ঐকমত্য হয়নি। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকরা এখনও অনড়। তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ২৬ জানুয়ারি তাঁরা দিল্লিতে ট্রাক্টর প্রজাতন্ত্র দিবস প্যারেড করবেন। তার আগে ৬ জানুয়ারিতেও মিছিল করা হবে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback