৯ ম্যাচে একটি মাত্র জয়, চারটি ড্র ও চারটি হার সহ আইএসএলে নবাগত এসসি ইস্টবেঙ্গল লিগ টেলিবের ৯ নম্বরে। কিন্তু এরমধ্যেই বেশ কযেকটি ম্যাচে খারাপ রেফারিংয়ের শিকার হল সদ্য শতাব্দী পার করা কলকাতার ক্লাবটি। বুধবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধেও খারাপ রেফারিংয়ের শিকার হল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ফলে চরম ক্ষুব্ধ দলের হাই প্রোফাইল কোচ রবি ফাওলার। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তাঁরা প্রতিবাদ জানিয়ে কড়া ভাষায় চিঠি দিয়েছে ফেডারেশন এবং আইএসএলের আয়োজনকারী সংস্থাকে। সেই সঙ্গে কোচ ও অধিনায়কের নির্বাসনও উঠিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে।
ক্লাব সূত্রে খবর, গোয়া ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছিলেন অধিনায়ক ড্যানি ফক্স। কিন্তু ম্যাচের ভিডিও রিপ্লেতে দেখা যাচ্ছে তাঁর সঙ্গে গোয়ান ফুটবলারটির সরাসরি সংঘর্ষ হয়নি। ফক্সের পা বলেই স্প্শ করেছিল। কিন্তু লঘু পাপে গুরু দণ্ড দেওয়ার মতো রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখিয়ে দেন ফক্সকে। জানা যাচ্ছে ওই ফাউলের ভিডিও ক্লিপও চিঠির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা। অপরদিকে পরপর দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেছেন ডাগ আউটে দাঁড়ানো কোচ ফাওলার। তাই নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী ম্যাচে ডাগ আউটে থাকতে পারবেন না লিভারপুল কিংবদন্তি। সেটা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল।
এছাড়া ক্লাব কর্তারা আরও একটি বিস্ফোরক দাবি করেছেন। সেটা হল নাইজেরীয় স্ট্রাইকার ব্রাইটের গোল বাতিল অবৈধ। কারণ ব্রাইট যখন গোল করছেন তার আগেই ফাউল করেন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার সুরচন্দ্র। আর এই অজুহাতে গোল বাতিল করে দেন রেফারি। কিন্তু এক্ষেত্রেও টিভি রিপ্লে-তে দেখা গিয়েছে ওটা আদৌ ফাউল ছিল না, কারণ সুরচন্দ্র সিং কোনওভাবেই মহম্মদ নওয়াজকে স্পর্শ করেননি। বরং তিনি সতীর্থ ফুটবলারের পায়ে জড়িয়ে পড়ে যান। ফলে ন্যায্য গোল বাতিল হয় ইস্টবেঙ্গলের। ওই গোল হলে ম্যাচ জিততেও পারত ক্লাব। ফলে খারাপ রেফারিংয়ের শিকার হয়ে পয়েন্ট টেবিলে পিছিয়ে পড়ছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। পাশাপাশি কোচ ও অধিনায়কও পরের ম্যাচে নির্বাসিত। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই তাঁদের গুরুতর দোষ নেই। এই কথা উল্লেখ করে উপযুক্ত প্রমাণ সহ বিস্তারিত চিঠি AIFF এবং FSDL-কে পাঠিয়ে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এখন দেখার এই চিঠির কোনও উত্তর দেয় কিনা এই দুই সংস্থা। উল্লেখ্য, খারাপ রেফারিং নিয়ে এর আগেও প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে-মোহনবাগান।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback