সোমবার সকাল থেকেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ইডির তল্লাশি অভিযান। ৮ টি দলে ভাগ হয়ে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হানা তদন্তকারীরা। মূল লক্ষ্য গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডের শিকড় অবধি পৌঁছানো। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ইডির তালিকায় উঠে এসেছে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর নাম।
রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগেই পাচার কাণ্ডে জড়িতদের বাগে আনতে তৎপর ইডি ও সিবিআই। প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় লাগাতার তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের জেরা করে পলাতক বিনয় মিশ্র ও এই পাচার চক্রে জড়িতদের বিষয়ে নানা তথ্য উঠে আসছে। বিনয় মিশ্রের বাড়িতে তল্লাশিতে পাওয়া তথ্য ও ধৃতদের জেরার ভিত্তিতেই এদিন হুগলির কোন্নগরে এক ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিংয়ের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। জানা গেছে, সঞ্জয় সিং মূলত বস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।
তবে এর আড়ালেই চলত বেআইনি কাজ। বিনয় মিশ্র, অনুপ মাজি ও এনামুলের কাছ থেকে গরু ও কয়লা পাচার চক্রের যে বিপুল পরিমাণ টাকা তাঁর কাছে আসত। হাওলার মাধ্যমে সেই টাকা বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিতেন তিনি। যদিও তল্লাশি অভিযানের সময় বাড়িতে ছিলেন না সঞ্জয় সিং। তাঁর বাড়ির সদস্যদের সঙ্গেই কথা বলেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে কলকাতার বড়বাজার, গড়িয়া ও বাঙ্গুরেও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। গড়িয়ার নারকেলবাগান এলাকায় ইসিএল-এর এক আধিকারিকের বাড়িতে পৌঁছে যান তাঁরা। ইডি সূত্রে খবর, ওই ইসিএল-এর এক আধিকারিকের ছেলে দুবাইতে ব্যবসা করেন। গরু ও কয়লাপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত বিনয় মিশ্র ও কয়লা পাচার কাণ্ডের মূল চাঁই অনুপ মাজি ওরফে লালার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল ওই আধিকারিকের। সেই সূত্রেই তাঁর বাড়িতে এদিন তল্লাশি অভিযান করা হয়।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback