শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে আবারও উত্তেজনা কোচবিহারের তুফানগঞ্জে। সংঘর্ষের জেরে আহত হয়েছেন ৬ জন। ঘটনাটি ঘটেছে তুফানগঞ্জের নাককাটি গাছ অঞ্চলের দ্বিপর পাড় এলাকায়। খবর পেয়ে তুফানগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে বিজেপির দাবি, এলাকা দখল আর কাটমানির ভাগ নিয়েই তৃণমূলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। ঘটনা ঘিরে এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি পিন্টু হোসেন এবং যুব তৃণমূল সহ-সভাপতি আমানুল হকের অনুগামীদের মধ্যে বচসাকে কেন্দ্র করেই গোলমালের সূত্রপাত। শনিবার রাতে পিন্টু হোসেনের নেতৃত্বে একটি বৈঠকের পর ওই এলাকায় একটি মিছিল করা হয়। একই এলাকায় দলের এক কর্মীর বাড়িতে সেসময় বৈঠকে ছিলেন আমানুল হক। অভিযোগ, মিছিলের সময় পিন্টু হোসেনের লোকজনকে গালিগালাজ করে আমানুল হকের অনুগামীরা। অল্প সময়ের মধ্যেই বচসা সংঘর্ষের রূপ নেয়। দুই পক্ষের হাতাহাতিতে জখম হন প্রায় ৬ জন কর্মী। পিন্টু হোসেনের অভিযোগ, তাঁরা মিছিল করে ফেরার পথে আচমকাই পিছন থেকে হামলা চালানো হয়। আহতদের মধ্যে ৫ জন তুফানগঞ্জ মহাকুমা হাসপাতাল এবং ১ জন কোচবিহার মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোচবিহার জেলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা সামনে আসায় অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback