রাজনৈতিক সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি, ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিজেপির দাবি, আনন্দপুরের বনকাটা এলাকায় ১০ থেকে ১৫টি বাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, রবিবার বনকাটা এলাকায় এক বিজেপি কর্মী নাজিমুদ্দিনের মাথা ফাটিয়ে দেয় তৃণমূল কর্মীরা। এমনকি মহিলা সহ প্রায় ১০ -১২ জনের ওপরও ইট পাটকেল ছুঁড়ে হামলা চালায় তাঁরা। এরপর থেকেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। দিনভর মোতায়েন ছিল পুলিশ। অভিযোগ, রাতে ফের বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।
বোমা, বন্দুক নিয়ে চড়াও হয় তারা। ভাঙচুর চালানো হয় একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে। নিরাশ্রয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। জখম প্রায় ১২ জন। তাঁদের দাবি, মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে বিজেপিকে সমর্থন করছেন। এসবে ভয় পেয়ে রাতের অন্ধকারে এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। এসব করে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। তৃণমূল যদি এখনও এসব থেকে বিরত না হয় এরফল খুবই ভয়াবহ হবে।এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি বলেন, বিজেপির বুথভিত্তিক কোনও সংগঠন নেই। তৃণমূল কোনও বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বোমা মারেনি,ভাঙচুরও করেনি। এসব মিথ্যে অভিযোগ করে প্রচার পেতে চাইছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback