যুবককে অপহরণ করে মারধর, তুঙ্গে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর

শিলিগুড়ি থেকে এক যুবককে অপহরণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। কোনওক্রমে চলন্ত গাড়ি থেকে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচলেন যুবক। আক্রান্তের অভিযোগ, তাঁকে গাড়িতে আটকে দিনভর বন্দুকের বাট দিয়ে মারধর করা হয়। বিজেপিতে যোগদান করতে চাওয়ার জন্যই তাঁকে খুনের চেষ্টা বলে দাবি করেন তিনি। ওই যুবকের গলায় ফাঁসের দাগ, শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা এবং বন্দুকের বাট দিয়ে মুখে মাথায় মারধরের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি বিজেপি কর্মীদের। ওই যুবককে ধূপগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, আক্রান্ত যুবক সুদীপ ঘোষ, শিলিগুড়ির ৩৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। সন্ধ্যায় তিনি বাজারে ফল কিনতে গেলে সেই সময় হঠাৎ করেই চারজন তাঁর ওপর চড়াও হয়। গেটবাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে গাড়িতে তোলা হয় বলে অভিযোগ। ধূপগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুদীপ ঘোষ বলেন, 'চারজন যুবক বন্দুক দেখিয়ে জোরপূর্বক গাড়িতে তোলে। তাদের কাউকে আমি চিনি না। গত ৩১ শে ডিসেম্বর এলাকায় কয়েকজনের একটা ঝামেলা হয়েছিল। তাঁরা শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বলেই খবর। কিন্তু আমি বিজেপি করিনা। তবে একটা দল নিয়ে আমার বিজেপিতে যোগদানের কথা রয়েছে। এই বিষয়ে শিলিগুড়ি ৬ নম্বর মণ্ডল নেতাদের সঙ্গে কথাবার্তাও হয়েছে।' এদিকে গাড়িতে তোলার পর তার মুখে কালো কাপড় বেধে দেওয়া হয় বলে দাবি সুদীপ ঘোষের। এমনকি গাড়িতে তাঁকে বন্দুকের বাট দিয়ে মারধর, সিগারেটের ছ্যাকা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। দুই অপহরণকারী মাঝরাস্তায় একটু গাড়ি থামাতেই সেই সুযোগে একজনকে ধাক্কা মেরে গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে দৌড়ে পালান তিনি। এরপর তিনি স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে ধুপগুড়ি হাসপাতালে পৌছান। এদিকে এই ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে শাসক দল ও বিজেপির রাজনৈতিক চাপানউতোর। স্থানীয় বিজেপি নেতার দাবি, বিজেপির শ্রীবৃদ্ধি দেখে তৃণমূল ভয় পাচ্ছে। তাই এই ধরণের সন্ত্রাস করছে। তবে এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি তৃণমূল।    


Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم