এই প্রথমবার সম্ভবত নন্দীগ্রামে কোনও প্রার্থী দিচ্ছে না বামফ্রন্ট। সূত্রের খবর, এই হাই প্রোফাইল আসনটি এবার ছাড়া হচ্ছে জোটসঙ্গী আব্বাস সিদ্দিকীর নতুন রাজনৈতিক দল আইএসএফ-কে। এর ফলে খেলা ঘুরে গেল বলেই মনে করছেন বাংলার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এর আগেই নন্দীগ্রামে নিজে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলে পরিচিত নন্দীগ্রাম সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। ফলে এখানে বরাবরই বামেদের ভোট বেশি ছিল। পরিবর্তনের পর বামেদের ভোটে থাবা বসিয়ে তৃণমূলের পতাকা উড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু শুভেন্দু এখন পদ্ম শিবিরে। সম্ভবত তিনিই এবার বিজেপির টিকিটে নন্দীগ্রামে ভোটে লড়বেন। যদিও এই বিষয়ে বঙ্গ বিজেপি কিছু ঘোষণা করেনি এখনও।
তবে বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূল নেত্রী যেন নন্দীগ্রাম থেকেই ভোটে লড়েন সেই ব্যাপারে চাপ বাড়াচ্ছে সুকৌশলে। এই পরিস্থিতিতে বামেদের সিদ্ধান্ত খেলা ঘুরিয়ে দিল নন্দীগ্রামে। ২০১১ সালের আদম সুমারি অনুযায়ী নন্দীগ্রামে ৩৪ শতাংশ সংখ্যালঘু রয়েছেন। স্বভাবতই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নন্দীগ্রামে আব্বাস সিদ্দিকীর প্রার্থী তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাবে। ফলে চাপ বাড়বে শাসকদলের ওপর। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, বাম দলগুলি এবং কংগ্রেসের সমর্থন থাকায় বাড়তি সুবিধা পাবে আব্বাস সিদ্দিকীর নতুন রাজনৈতিক দল। এরসঙ্গে আব্বাসের জনপ্রিয়তা এবং নির্দিষ্ট ভোট চাপ বাড়াবে তৃণমূলের ওপর। অপরদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী যদি এই নন্দীগ্রাম থেকেই লড়াই করেন, তবে লড়াই হবে ত্রিমুখী। উল্লেখ্য, ১৯৫৭ সাল থেকে এই আসন জিতে আসছিলেন বাম প্রার্থীরা, কিন্তু তাঁরা ধাক্কা খায় ২০০৯ সালের বিধানসভার উপ নির্বাচনে এসে। ওই উপ নির্বাচনে বাম প্রার্থী ভোট পেয়েছিলেন ৩৯ শতাংশ ভোট এবং তৃণমূল প্রার্থীর দখলে যায় ৫৮ শতাংশ ভোট। এবার কি হবে? তারকা কেন্দ্র নন্দীগ্রামের দিকে নজর গোটা বঙ্গের।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback