একুশের নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। হাতে সময়ও খুব কম। এই আবহেই বিরোধী ভোট নিজেদের ঝুলিতে টানতে সকলকে টেক্কা দিতে চাইছে বাম-কং-আব্বাসের জোট। রবিবারই তাঁদের ঐক্যবদ্ধ ব্রিগেড সমাবেশ। আর এই ব্রিগেড সমাবেশকে সফল করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না বামফ্রন্ট। তাঁদের সঙ্গী হয়েছে কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকীর সেকুলার ফ্রন্টও। একুশের বিধানসভাকে পাখির চোখ করে বঙ্গ বিজেপিও ব্রিগেডে সভা করবে, প্রধানবক্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই জোটের ব্রিগেড, যা রাজনৈতিকভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ পশ্চিমবঙ্গে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি, সেই জায়গা দখল করতে মরিয়া বামেরা।
তবে একক সাংগঠনিক ক্ষমতায় সেটা সম্ভব না বুঝেই জোটের প্রচেষ্টা। আর ঐক্য ধরে রাখতে ব্রিগেডেও জোটসঙ্গীদের আহ্বান। বামফ্রন্টের আশা ১০ লাখ মানুষ আসবেন এদিনের ব্রিগেডে। সেই মতো প্রস্তুতি তুঙ্গে। শিয়ালদা, হাওড়া স্টেশনের পাশাপাশি বাবুঘাট, হাওড়া ফেরিঘাটে ক্যাম্প করে কর্মী-সমর্থকদের স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়া, হাজার হাজার বাস, গাড়ি নিয়েও সমর্থকরা ব্রিগেডমুখী আজ। বিগত একমাস ধরে ব্রিগেডের প্রচারের জন্য নিজেদের চেনা ছক থেকে বেরিয়ে এসে ‘জেন-ওয়াই’ প্রজন্মকে টার্গেট করেছিল বাম যুব সংগঠনগুলি। প্যারোডি গানে ‘টুম্পা সোনা’ বা ‘ফ্ল্যাশ মব’ কোনও কিছুই বাদ রাখেনি বাম ছাত্র-যুব সংগঠনগুলি। কিন্তু এতকিছুর পরও বাংলার রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, ব্রিগেডের ফসল ভোটবাক্সে আসবে তো?
রবিবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতায় আসছেন হাজার হাজার মানুষ। বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বেরও ব্যস্ততা তুঙ্গে। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগেও হয়েছিল বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ। সেবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ব্রিগেড পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েও মঞ্চে উঠতে পারেননি অসুস্থতার জন্য। এবারও তাঁর ব্রিগেড যাওয়ার আন্তরিক ইচ্ছা ছিল, কিন্তু চিকিৎসকদের অনুমতি মেলেনি। তাই লিখিত বার্তা দিয়েছেন কর্মী-সমর্থকদের জন্য। সেটাই মঞ্চে পাঠ করে শোনানো হবে।
শনিবারই ব্রিগেডের আগে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছেন, এবারের ব্রিগেডে জায়গা হবে না। তিনি আরও দাবি করেন, শুধুমাত্র তাঁদের (বামফ্রন্ট) তরফ থেকেই সাগঠনিকভাবে সাড়ে সাত লাখ মানুষ ব্রিগেডে যাবেন। এরপর কংগ্রেস এবং আব্বাসের আইএসএফ আছে। ফলে সবমিলিয়ে দশ লাখের বেশি মানুষ রবিবার ব্রিগেডমুখী থাকবে। সেক্ষেত্রে ব্রিগেডে জায়গা দেওয়া যাবে না বলেই মনে করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। সমস্ত মানুষ যাতে সভার বক্তাদের কথা শুনতে পারেন সেজন্য ৬২০টি মাইকের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেই জানিয়েছিলেন বিমান বসু।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback