রবিবার সকাল সকাল সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ পড়ল হুগলির ওয়েলিংটন জুটমিলে। ফলে ভোটের মুখে কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় ২ হাজার শ্রমিক। সকাল সকাল কার্যত মাথায় হাত পড়ে শ্রমিকদের। এরপরই জিটি রোড অবরোধ শুরু করে দেয় কর্মহীন শ্রমিকরা। পরে পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়। এর জেরে দীর্ঘ সময় অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার দরুণ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে জিটি রোডে। এদিন সকালে ওয়েলিংটন জুটমিলের গেটে বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। ফলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। মিল কর্তৃপক্ষের দাবি, আর্থিক পরিস্থিতির অবনতির কারণেই জুটমিল বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
করোনার জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল জুটমিলগুলি। ফলে উৎপাদনও বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে তাঁদের। যদিও সেকথা মানতে নারাজ শ্রমিক ইউনিয়নগুলি। আইএনটিইউসি-র (INTUC) অভিযোগ, রাজ্য সরকারের উদাসীনতায় প্রাচীন ওয়েলিংটন জুটমিলের আজ এই পরিস্থিতি। এই নিয়ে শ্রমদপ্তরের সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনার পরও সমস্যার জট কাটেনি। প্রায় একই অভিযোগ বাম শ্রমিক সংগঠন সিটুর (CITU)। তাঁদের বক্তব্য স্থায়ীভাবেই জুটমিলটি বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির জেরে লকডাউনের পর জুটমিলগুলি খুললেও লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে না এই অজুহাতে রাজ্যে একের পর এক জুটমিল বন্ধ হয়েছে। অপরদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, বিপুল পরিমান পাটের বস্তার অর্ডার দেওয়া হয়েছে জুটমিলগুলিকে। তবুও মালিক ও শ্রমিক অশান্তির জেরেই বন্ধ হচ্ছে জুটমিল। ফলে মিল বন্ধ নিয়েও রাজনীতির রঙ লেগেছে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback