ফের হামলা বিজেপি নেতার ওপর। যদিও অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন মিনাধাঁর বিজেপি নেতা। শনিবার রাতেই বিজেপি নেতা ফিরোজ কালাম গাজি ওরফ বাবু মাস্টারের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল প্রকাশ্য রাস্তায়। বসিরহাটে একটি সভা সেরে কলকাতার দিকে ফিরছিলেন সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া বাবু মাস্টার। রাতে বাসন্তী হাইওয়ের উপর লাউহাটি পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে তাঁর গাড়ির উপর হামলা চলে বলে অভিযোগ। তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় বোমার সপ্লিন্টার বিঁধে যায়, দ্রুত তাঁকে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত বিপদমুক্ত হলেও আশঙ্কাজনক রয়েছেন বাবু মাস্টার। রাতেই তাঁকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং শঙ্কুদেব পাণ্ডা।
বিজেপি নেতৃত্ব এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কমপক্ষে ১০-১২ জনের একটি দল বাসন্তী হাইওয়ের ওপর বাবু মাস্টারের গাড়িতে আচমকা হামলা চালায়। লাউহাটি পুলিশ ফাঁড়ির খুব কাছেই কিভাবে এতবড় হামলা হল? প্রশ্ন উঠছে সেই নিয়ে। জানা যাচ্ছে, প্রথমে বাবু মাস্টারের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়, এরপর তাঁকে লক্ষ্য করে গুলিও চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রকাশ্য রাস্তায় পুলিশ ফাঁড়ির কাছেই হামলার ঘটনায় প্রথমে হকচকিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে দ্রুত বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। রাজনৈতিক কারণে এই আক্রমণ নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে সেটা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিজেপির দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনার নেপথ্যে। যদিও হামলার দায় এড়াচ্ছে তৃণমূল। তবুও গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের শেষ দিকে টিটাগড়ে একই কায়দায় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মণীশ শুক্লার ওপর হামলা হয়েছিল। সেই হামলার অবশ্য প্রাণ হারিয়েছিলেন মণীশ। এবার হামলা হল মিনাখাঁর বিজেপি নেতার ওপর।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback