শুক্রবারই রাজ্যসভার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। এরপর নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে সরিয়ে দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। জানিয়েছেন, ‘দলে দমবন্ধ হয়ে আসছিল, তাই অন্তরাত্মার ডাকেই সরে দাঁডালাম’। তবে কি তিনিও বিজেপির পথে? গতকাল সন্ধ্যা থেকে এটাই ছিল বাংলার রাজনৈতিক মহলে চর্চার বিষয়। শনিবারই তিনি ‘পুরোনো বন্ধু’ অমিত শাহর হাত ধরে পদ্মশিবিরে যোগ দিতে পারেন, এমনটাই সূত্রের খবর। দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরেরই হতে এই হাই প্রোফাইল দলবদল। থাকতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
উল্লেখ্য গুজরাতেই জন্ম দীনেশ ত্রিবেদীর। আর শুক্রবারই ওই রাজ্য থেকে দুটি রাজ্যসভার আসনের ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। এর একটিতে তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীর নাম থাকতে পারে বলেই বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে। দিল্লির রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, এই শর্তেই তৃণমূল ছেড়েছেন ব্যারাকপুরে দুবারের সাংসদ। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পর তিনিও অন্যান্যদের মতোই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকেই নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন, দলের রাশ এখন আর নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নেই। দল চালাচ্ছে কর্পোরেট সংস্থা। অর্থাৎ পিকে-র সংস্থাই যে তৃণমূল চালাচ্ছে সেটা স্পষ্ট দীনেশের কথায়। ফলে তাঁর বিজেপিতে যোগদান কার্যত সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। চড়ছে জল্পনার পারদ।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback