মঙ্গলবার অণ্ডাল বিমানবন্দরে নেমে সোজা তারাপীঠ যান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বেনারসী শাড়ি দিয়ে তারাপীঠে পুজোও দিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ অন্যান্যরা। এরপরই তিনি পৌঁছে যান চিলার মাঠে বিজেপির জনসভায়। একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে ফের রাজ্য সফরে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই সফরে তিনি দুজায়গায় বিজেপির পরিবর্তন রথযাত্রার সূচনা করবেন। একটি ঝাড়গ্রাম এবং অন্যটি অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে।
তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিয়েই তিনি চিলার মাঠের সভা থেকে শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করেন। তৃণমূল আমলে বাংলার সংস্কৃতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেই অভিযোগ আনেন জেপি নাড্ডা। তাঁর কথায়, ‘আজ বাংলায় বহিরাগত তত্ত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভাইয়ে ভাইয়ে লড়াই বাঁধানো হচ্ছে। মমতার রাজত্বে সঙ্কট বাংলার সংস্কৃতি’। তিনি আরও বলেন, আমার নামের সঙ্গেও কিছু বিশেষণ জুড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা কি বাংলার সংস্কৃতি! আসলে মমতাদিদি মাকে সম্মান দেন না, মাটিকেও ভালোবাসেন না। এরপরই পশ্চিমবঙ্গের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে যত্নশীল তথ্য সহ সবিস্তারে জানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
নাড্ডা বলেন, বাংলার মানুষের জন্য অনেক প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মুখের কথা নয়, কাজ করে দেখান প্রধানমন্ত্রী। বাংলার ২০ লাখ ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পের সূচনা করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এই বাজেটে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ৬৭৫ কিমি হাইওয়ের জন্য টাকা বরাদ্দ করে দিয়েছেন। দুটি ফ্রেট করিডর আসছে এই রাজ্যে। বাংলার চা বাগানের জন্য এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী চা বাগানের শ্রমিকদের কথাও ভাবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির হৃদয়ে রয়েছে বাংলা। এরপরই তিনি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে বিঁধে বলেন, বাংলায় বর্তমানে শোষণের রাজনীতি চলছে। গুন্ডারাজ-তোলাবাজি চলছে। পরিস্থিতি বদলে বাংলায় বিজেপির শাসন চাই। তাই বাংলায় বদল আনবে বিজেপি।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback