কয়লা পাচার কাণ্ডে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এবার থেকে তদন্ত চালানোর জন্য রাজ্যের অনুমতি লাগবে না সিবিআইয়ের। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা সিবিআইয়ের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল রেলের জমি ছাড়া অন্য জায়গায় তদন্ত করতে গেলে সিবিআই-কে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হবে। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে তল্লাশি করতে হবে বলে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট।
গত সোমবারই এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে সিবিআই। এদিন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আগের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল। সেই সঙ্গে সব পক্ষকেই হলফনামা জমা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে হবে আগামী ২৩ মার্চের মধ্যে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৭ এপ্রিল। উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডের তদন্ত নিয়ে এমনিতেই চরম অস্বস্তিতে রয়েছে শাসকদল। কয়লা পাচারে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা। এবার তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত এবং তল্লাশি চালাতে আর কোনও বাধা থাকলো না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
অপরদিকে, কয়লা পাচার কাণ্ডে এবার তৎপর হল আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডি। শুক্রবার রাজ্যের ১০টি এলাকায় তল্লাশি চালালো ইডি-র গোয়েন্দারা। কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, আসানসোল, রানিগঞ্জ, দুর্গাপুর, হলদিয়া সহ ১০টি এলাকায় আজ তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। মূলত কয়লা পাচারের টাকা কোথায় কিভাবে পাচার হয়েছে সেই দিকটিই তদন্ত করে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। কয়লা কাণ্ডে অপর অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের বাড়িতেও আজ হানা দিয়েছে ইডি।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback