উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে তুষারধসে এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া
গিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, অন্তত দেড়শো লোকের প্রাণহানি হয়েছে। রবিবার
রাজ্যের মুখ্যসচিব ওমপ্রকাশ জানিয়েছেন, অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা
হচ্ছে। তপোবনে এনটিপিসির নয় কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা
টিমের ডিআইজি রিধিম আগরওয়াল জানিয়েছেন, ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের
দেড়শোরও বেশি শ্রমিকের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সেনাবাহিনীর ৬০০ জওয়ান
সেখানে রওনা হয়েছেন। একটি টানেলে আটকে পড়া ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার
সকালে জল ও বরফের প্রবল চাপে ভেঙে যায় ধৌলিগঙ্গা নদীর উপর বাঁধটি। রবিবার
সকালে নন্দাদেবী হিমবাহ ভেঙে তুষারধস নামে চমোলি জেলায়। জোশীমঠের কাছে ওই
তুষারধসের জেরে ধৌলিগঙ্গার জলস্তর প্রবল ভাবে বেড়ে গিয়েছে। প্রবল
জলোচ্ছ্বাসে একের পর এক গ্রাম ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা। কয়েকজনের ভেসে যাওয়ার
আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে খবর
পাওয়া যাচ্ছে। হিমবাহে ফাটলের কারণে এই ধস বলেই জানিয়েছেন ভূতত্ত্ববিদরা।
चमोली जिले में तपोवन स्थित बांध फटा,प्रदेश में अलर्ट जारी। pic.twitter.com/gk6XbNcC1p
— SDRF UTTARAKHAND (@uksdrf) February 7, 2021
২০১৩ সালের স্মৃতি উসকে দিল উত্তরাখন্ড। তুষার ধসের জেরে ভাঙল ধৌলিগঙ্গা নদীর জলাধার। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তপোবন এলাকার রেইনি গ্রামের কাছে জলজলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই সেই অঞ্চলে ব্যাপক তুষারপাত হয়েছিল। তুষারধসের ফলে নিখোঁজ প্রায় শতাধিক মানুষ। খালি করে দেওয়া হয়েছে আশেপাশের বেশ কিছু গ্রাম। একই সঙ্গে সতর্কতা জারি করা হয়েছে বেশ কিছু অঞ্চলে। উদ্ধারকার্যে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। খোলা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে প্রশাসন। গ্রামবাসীদের রয়ে আনারা টেষ্টা করছে উদ্ধারকাজে নিযুক্ত বাহিনী। অলকানন্দার ধারের লোকজনকেও সরানো হচ্ছে। বন্ধ করা হয়েছে ভাগিরথী নদীও।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback