চোদ্দ বছরের এক কিশোরীকে বিয়ে করলেন পাকিস্তানের বছর ষাটেকের এক সাংসদ। অভিযোগ আনলেন পাকিস্তানেরই এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ঘটনা জানাজানি হতেই প্রবল সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিশ্বজুড়েই। যদিও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাকিস্তানের পুলিশ বিভাগ। জানা যাচ্ছে, পাক বালোচিস্তানের ‘জামিয়তে উলেমা-এ-ইসলাম’ নামে এক সংগঠনের নেতা মৌলানা সালাহউদ্দিন আউয়ুবি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনিই চিত্রল এলাকার এক চোদ্দো বছরের এক নাবালিকাকে বিয়ে করেছেন। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে মেয়েদের বিয়ের বৈধ বয়স ষোলো। সেইমতো ওই নাবালিকার বিয়ের বয়স না হওয়ায় ওই পাক সাংসদ বিপাকে পড়েন।
বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করায় পাকিস্তান জুড়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। বয়সে চার গুণ বড় ওই সাংসদের সঙ্গে কিশোরীর বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে। ফলে নেটিজেনরাও এর নিন্দায় সরব হন। পাক সংবাদ পত্র ‘ডন’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্কুলের রেজিস্টার অনুযায়ী ওই কিশোরীর জন্ম ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর। সেখান থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায় বৈধ বয়সের আগেই বিয়ে হয়েছে ওই নাবালিকার। ওই প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়েছে, কিশোরীটির বাবা-মা স্বীকার করে নিয়েছেন যে তাঁদের মেয়ের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু বৈধ বয়স না হওয়ায় আপাতত তাঁরা মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠাবেন না। যদিও পুরো বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ওই পাকিস্তানের ওই সাংসদ মৌলানা সালাহউদ্দিন আউয়ুবি এবং প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback