ব্রিটিশ যুগ থেকে এই সেদিনও বাঙালির প্রিয় মিষ্টি বলতে ছিল প্যারাডাইস সন্দেশ। যা কিনা আভিজাত্যের ঐতিহ্য হিসেবেই পরিচিত ছিল। কবে আবিষ্কার হয়েছিল বা কে করেছিল তা নিয়ে বিস্তর তর্ক হাতে পারে। কিন্তু এর স্বাদের সত্যিই বিকল্প কোনও নেই। শোনা যায়, কলকাতার এক তথাকথিত রায়বাহাদুরের বাড়িতে আমন্ত্রণ ছিল তৎকালীন বাংলার বড়লাটের। খাওয়ার বিষয়ে সাহেবের বক্তব্য ছিল যে তিনি ‘ইন্ডিয়ান খানা’ খাবেন। সে তো গেলো প্রাথমিক বিষয়। সাহেবের জন্য মুরগি-মাটন, গোল রুটি ছিল, কিন্তু ভারতীয় মিষ্টির কি হবে? তখন রায়বাহাদুর নিজেই গেলেন বিখ্যাত এক মিষ্টির দোকানে, তাঁদের মিষ্টির ফরমায়েশ দিলেন। সব শুনে ওই দোকানের মালিক রায়বাহাদুরকে বললেন ঘাবড়াবেন না, আমি বিষয়টি দেখছি।
এরপর
ছানার কাঁচাগোল্লার সাথে কাজু, পেস্তা,খোয়া ক্ষীর ইত্যাদি দিয়ে বেশ বড়
মাপেন একটি সন্দেশ তৈরী করে দিলেন। সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল কেকের
ভ্যানিলা। অসাধারণ স্বাদ হয়েছিল সেই সন্দেশের, সাহেব তো খেয়ে খুব খুশি।
তিনি রায়বাহাদুরকে মিস্টিটির তারিফ করে বলেছিলেন, ‘ওহ ইটস প্যারাডাইস’। পরে
সেটাই প্রচলিত হয়ে গেল, বাজারে চলে এল নতুন সন্দেশ ‘প্যারাডাইস সন্দেস’।
আজও পাওয়া যেতে পারে হয়তো এই বিশেষ সন্দেশ। কিন্তু এক পিসের দাম ৭০ থেকে ৭৫
টাকা .... কে খাবে ?
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback