ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ চলছে। এরমধ্যেই রোজভ্যালি কাণ্ডের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে চিঠি দিল। ক্লাবের হিসাবরক্ষক দেবদাস সমাজদারকে ডেকে পাঠানোর পাশাপাশি ক্লাবকেও চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই চরম অস্বস্তিতে লাল-হলুদ কর্তারা। উল্লেখ্য, এর আগে সারদা কাণ্ডেও নাম জড়িয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। ক্লাবের পরিচালক মণ্ডলীর অন্যতম কর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নিতুকে জেলও খাটতে হয়েছিল। এবার রোজভ্যালি কাণ্ডেও নাম জড়িয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অন্যতম কর্তা দেবদাস সামজদারের। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুর সাথেও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অর্থনৈতিক যোগ ছিল। প্রশ্ন উঠেছে এই যোগ কি ব্যক্তিগত নাকি ক্লাব সংক্রান্ত? এই বিষয়ে জানতে সিবিআই দুটি চিঠি পাঠিয়েছে ক্লাবে। কিন্তু এরপরও ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা নীরব রয়েছেন। যদিও সিবিআইয়ের চিঠির ঘটনা সামনে আসতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্লাবের বর্তমান ইনভেস্টররা।
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২৯ ডিসেম্বর ক্লাব এবং হিসাবরক্ষক দেবদাস সমাজদারকে চিঠি দিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু চিঠি যাওয়ার পরও কোনও উত্তর আসেনি। ফলে ফের গত ৫ জানুয়ারী চিঠি পাঠানো হয় ক্লাব সভাপতি ডাঃ প্রণব দাশগুপ্তের কাছে। কিন্তু তারও উত্তর দেওয়া হয়নি ক্লাবের তরফ থেকে। সবমিলিয়ে শতবর্ষের বছরে এই ঘটনা কাম্য নয় বলেই জানিয়েছেন ক্লাবের বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্টের কর্ণধার হরিমোহন বাঙুর। তিনি জানিয়েছেন, এক সময়ে চিটফান্ড কাণ্ডে যুক্ত থাকা সুদীপ্ত সেন এবং গৌতম কুণ্ডুকে দলের ক্লাবের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তবে কেন এখন যাদের নাম উঠে আসছে তাঁদের বহিস্কার করা হবে না? এমনিতেই ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং ইনভেস্টরদের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক নেই। এবার সিবিআইয়ের চিঠি নতুন করে সমস্যা তৈরি করল লাল-হলুদের অন্দরে। ফলে শতবর্ষে মহা সংকটে ইস্টবেঙ্গল।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback