দোলের দিন ছিল সর্বত্র মিলনমেলা, ব্যতিক্রম নয় টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রও। সকাল থেকেই তৃণমূল প্রার্থী অরূপ বিশ্বাস মেতেছিলেন দোল উৎসবে। ব্যতিক্রম ঘটল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং টালিগঞ্জ বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র ক্ষেত্রে। দিব্যি স্বমেজাজেই ছিলেন বাবুল। স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে এসেছিলেন রানীকুঠি অঞ্চলে। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। তিনি যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখনই সেখানে উপস্থিত দলের এক সমর্থক মন্তব্য করেন, ‘ছবি তুলে লাভ নেই, এখানে লড়তে হবে’। শুনে বাবুল তাঁকে চুপ থাকতে বলেন। অভিযোগ, পরে ওই যুবককে তিনি রানীকুঠি পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে যান, এবং কার্যালয়ে ঢোকার মুখে সপাটে থাপ্পড় মারেন তিনি। এমনকি সেখানে উপস্থিত আরও কয়েকজন বিজেপি নেতা ওই যুবককে ধমক দিতেও দেখা গিয়েছে। পুরো ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। যদিও বাবুলের দাবি, তিনি এই কাজ না করলে ওই যুবক দলের অন্যান্য সদস্যদের কাছে আরও নিগৃহীত হতে পারতেন। তিনিই সময়মতো হস্তক্ষেপ করেছেন।
পরে বাবুল সুপ্রিয় বলেন যে, অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে তৃণমূলই কিছু বহিরাগতকে এখানে পাঠিয়েছে | এভাবে এলেই থাপ্পড় খাবেই। তিনি আরও জানান যে, বারবার অন্যদল থেকে লোক আসছে। এরা বিভীষণ, মীরজাফর। দলীয় কর্মীকে থাপ্পড়ের ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় (যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন নিউজ)। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, যাঁরা যোগদানের মেলা করছেন তাঁদের মুখে এই কথা মানায় না। যদিও বাবুল সুপ্রিয়র কাছে এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ও বিরোধী দলের সমর্থক ও কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback