জেলায় জেলায় প্রার্থীদের নিয়ে ক্ষোভের আঁচ এবার এসে পড়ল খাস কলকাতায়। হেস্টিংসে বিজেপির নতুন নির্বাচনী কার্যালয়ের বাইরে সোমবার দুপুর থেকে চলছে দফায় দফায় বিক্ষোভ। বিকেলের দিকে বিক্ষোভে এতটাই উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা, যে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে হয় হেস্টিংসে। এদিন কলকাতায় হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীদের নিয়ে অসন্তোষ জানাতে বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক উপস্থিত হয়েছিলেন। রবিবার বিজেপির মূলত দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই ক্ষোভ জমা হতে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।
সোমবার দুপুরে পাঁচলা ও উদয়নারায়নপুরের বিজেপি প্রার্থীদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কয়েকশো বিজেপি সমর্থক। উল্লেখ্য, হাওড়ার পাঁচলায় প্রার্থী করা হয়েছে মোহিত ঘাঁটিকে। এবং উদয়নারায়ণপুরে প্রার্থী হয়েছেন সুমিত রঞ্জন কাঁড়ার। মোহিত ঘাঁটি সম্প্রতি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছেন। বিজেপির পুরনো কর্মীদের অভিযোগ, মোহিত দেহ ব্যবসা চালান। মাত্র ১৫ দিন আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। স্রেফ রাজীব ঘনিষ্ঠ বলেই তিনি এবার টিকিট পেয়েছেন। ফলে স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এদিন দুপুর থেকে বিক্ষোভ চললেও, বিকেলের দিকে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়।
মুকুল রায় হেস্টিংসের দফতরে ঢুকতে গেলে তাঁকে ঘিরে ধরেন বিক্ষোভকারীরা। সেসময় পুলিশের সঙ্গেও ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। পরে সেখানে আসেন জাঙ্গিপাড়ার বিজেপি প্রার্থী দেবজিৎ সরকার। তিনিও বিক্ষোভের মুখে পড়ে দফতরে ফিরে যান। এরপর সর্বভারতীয় বিজেপি নেতা শিব প্রকাশ সেখানে যান, তিনি বিক্ষোভরত কর্মীদের বোঝানোর চেষ্টা করে অসফল হন। পরে বিজেপি নেতা অর্জুন সিং কিছুটা বুঝিয়ে সুঝিয়ে শান্ত করেন বিক্ষোভকারীদের। তবে ঘটনার জেরে বেশ কিছু সময় রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল হেস্টিংসের বিজেপি কার্যালয়ের বাইরের এলাকা। ব্যারিকেড ভাঙা হয় সেখানে। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। উল্লেখ্য, বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই হুগলির সিঙ্গুর, উত্তরপাড়ায় বিক্ষোভ হয়েছে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback