চলতি বছরের শুরুতে ১ থেকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার ২৩টি রিপোর্ট জমা পড়েছে। তাতে প্রাণহানির ঘটনা রয়েছে দুটি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পেশ করা সর্বশেষ রিপোর্টে এই পরিসংখ্যানের উল্লেখ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দলই সরব হযেছেন বারবার। বঙ্গ বিজেপি এই নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে দরবার করেছে। বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও বহুবার সরব হয়েছেন। সবমিলিয়ে অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূলের দিকেই।
এবার অমিত শাহর অধীনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও জাতীয় নির্বাচন কমিশনে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিল। সূত্রের খবর, তাতে বাংলায় পরিস্থিতি ভয়াবহ বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই আদর্শ আচরণবিধি (Model code of Conduct) লাগু হয়েছে। ফলে প্রশাসন এখন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনেই চলে গিয়েছে। অপরদিকে সমস্ত রাজনৈতিক দলকেই এই নির্দেশিকা মেনেই চলতে হবে। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ল।
এমনিতেই বাংলায় সুষ্ঠ ও অবাধ ভোট করতে বধ্যপরিকর বলে জানিয়েছে কমিশন। তাই ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্যে বেশ কয়েক কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী পাঠিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তাঁরা উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় টহলও শুরু করেছিল। এবারই নজিরবিহীনভাবে রাজ্যে দু’জন পুলিশ পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে কমিশন। তাঁদের সর্বত্র অবাধ যাতায়াতের জন্য দুটি হেলিকপ্টারও চেয়ে রেখেছে কমিশন। ফলে ভোট সংক্রান্ত অপরাধ, অসদাচরণ, ভোটারদের উস্কানি, ঘুষ, হুমকি বা ভয় দেখানোর মতো দুর্নীতি যাতে না ঘটে তাও নিশ্চিত করতে চাইছে সুনীল আরোরার নেতৃত্বাধীন কমিশন।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের সময় পশ্চিমবঙ্গে মোট ৬৬৩টি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। আর তাতে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছিল ৫৭টি। আবার ২০১৮ পঞ্চায়েত ভোটের সময় বাংলায় রাজনৈতিক হিংসায় প্রাণ গিয়েছিল ২৩ জনের। সূত্রের খবর, বাংলায় ভোট করানো নিয়ে যথেষ্ঠ চিন্তায় নির্বাচন কমিশন। তাই শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ৮ দফায় ভোট করাচ্ছে তাঁরা। এমনকি প্রয়োজনে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback