একুশের নির্বাচনে শাসকদল বহিরাগত ইস্যুতেই জোর বাড়িয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমো থেকে শুরু করে দলের ছোট-বড়-মেজো নেতারা প্রতিনিয়ত তোপ দাগছেন ‘বহিরাগত’ ইস্যু নিয়ে। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগেই এই বিষয়ে ফের কমিশনে নালিশ ঠুকে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অবশেষে পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন। নতুন নির্দেশিকা জারি করল তাঁরা। নির্বাচন কমিশন পরিস্কার জানিয়ে দিল প্রচার শেষ হতেই আর বিধানসভা এলাকার বাইরের কেউ ওই এলাকার হোটেল, লজ, বিয়েবাড়ি বা ব্যাঙ্কোয়েট হলে থাকতে পারবেন না। এই সমস্ত জায়গায় নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে পুলিশকে। এই ব্যাপারে নতুন করে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে থানাগুলিকে। আগামী ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় নন্দীগ্রাম-সহ দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। তার আগেই নন্দীগ্রাম-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় নাকাবন্দির নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।
অপরদিকে উত্তরবঙ্গের দিনহাটায় বিজেপি নেতার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক রিপোর্ট জমা করেছেন নির্বাচন কমিশনে। বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দূবের রিপোর্টে আত্মহত্যার কথাই উল্লেখ রয়েছে। জানা যাচ্ছে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে অবসাদে ভুগছিলেন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি অমিত সরকার। এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং বিধানসভা ভোটে টিকিট না পাওয়ার অবসাদেই তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। প্রথম দফার ভোটের আগেই ওই বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় দিনহাটায়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক তদন্তেও আত্মহত্যার তত্ত্ব উঠে আসে। এরপর দিনহাটায় যান বিবেক দূবে। তিনি অমিত সরকারের স্ত্রী সহ স্থানীয় অনেকের সঙ্গেই কথা বলেন। এরপরই সোমবার তাঁর রিপোর্ট কমিশনে জমা দিলেন। সূত্রের খবর, তাঁর রিপোর্টে পরিস্কার উল্লেখ রয়েছে খুন নয় আত্মহত্যাই করেছেন দিনহাটার বিজেপি নেতা।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback