কয়েকদিন আগে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে বদলি করেছিল নির্বাচন কমিশন। এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি দিয়েছিল রাজ্য। এবার সেই চিঠির কড়া জবাব দিলেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে লেখা সেই জবাবে বলা হয়েছে, 'একজন জেড প্লাস শ্রেণির নিরাপত্তা প্রাপকের জন্য তাঁর নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় পুলিশের মধ্যে যে সমন্বয় দরকার ছিল তা দেখা যায়নি'। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, 'ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা রুখতে সমন্বয় বাড়ানোর দরকার'।
সূত্রের খবর, উপ-মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন নন্দীগ্রামে মমতার আহত হওয়ার ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিব ও কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষকদের রিপোর্টও উল্লেখ করেছেন। এমনকি বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবির জবাবে চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে আজগুবি গল্প বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়'। উল্লেখ্য, রাজ্য পুলিশের ডিজি অপসারণ এবং তার পরেই নন্দীগ্রামে মমতার আহত হওয়ার ঘটনায় পরোক্ষে কমিশনকেই দায়ী করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সময় এই বিষয়ে সরব হয়েছিলেন। এমনকী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কমিশন চালাচ্ছেন কি না সেটা নিয়েও প্রশ্নও তোলেন।
পুরো ঘটনায় আগেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল নির্বাচন কমিশন। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টাকেও অপসারণ করে কমিশন। এতে আরও চটে যান তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু এই বিষয়ে কমিশনের তরফে জবাবে বিশেষ পর্যবেক্ষকদের রিপোর্ট উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি রাজ্যের মুখ্যসচিবের রিপোর্টও উল্লেখ করা হয়েছে। কেন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে অপসারণ করা হল তার সপক্ষে কয়েকটি যুক্তিও দিয়েছে কমিশন। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়ম মানেননি। বারবার সূচি বদল হয়েছিল।
পাশাপাশি বলা হয়েছে, একজন জেড প্লাস নিরাপত্তা প্রাপক ব্যক্তি সিট বেল্ট খুললেও বাধা দেননি তিনি। চলন্ত গাড়ির দরজা খুললেও বাধা দেননি। সার্বিকভাবে তাঁকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন বিবেক সহায়। এছাড়া ওই চিঠিতে উপ নির্বাচন কমিশনার এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তাঁরা এমন কোনও পদক্ষেপ করে না যাতে কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সুবিধা হয়।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback