রবিবার ব্রিগেড থেকে পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ভাষণই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যবাসীকে রীতিমতো যুক্তি দিয়ে বোঝালেন, কেন বাংলায় ‘আসল পরিবর্তন’ দরকার। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তীব্র আক্রমণ করলেন। তৃণমূল নেত্রীর নন্দীগ্রামে ভোটে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে ই-স্কুটি চড়ে প্রতিবাদ কোনও কিছুই বাদ গেল না প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণে। এদিন নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দশ বছর পর মানুষ জবাব চাইছেন। সকলেই আপনাকে দিদি হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু আপনি নিজেকে শুধু একজন ভাইপোর পিসি হিসেবেই সীমাবদ্ধ করে রাখলেন। কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রের পথেই আপনি কেন হাঁটলেন?’ এরপরই তিনি যোগ করেছেন, তৃণমূল সরকারের আয়ু কমে আসছে। আজ গোটা দেশ শুনুক, দুর্নীতি আর নয়, তোলাবাজি আর নয়, কাটমানি আর নয়, সিন্ডিকেট আর নয়, বেকারত্ব আর নয়, হিংসা আর নয়, আতঙ্ক আর নয়, তুষ্টিকরণ আর নয়, আর নয় অন্যায়।
এদিন প্রধানমন্ত্রী জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মমতার ই-স্কুটি চড়ে প্রতিবাদের প্রসঙ্গও তুলে আনেন নিজের ভাষণে। রীতিমতো কটাক্ষের সুরেই তিনি বলেন, কিছু দিন আগে স্কুটি সামলেছেন। সবাই ভয় পাচ্ছিলেন, যে আপনি পড়ে গিয়ে আঘাত না পান। ভাগ্যিস পড়ে যাননি? নাহলে যে রাজ্যে স্কুটি তৈরি হয়েছে, সেই রাজ্যকেই শত্রু বানিয়ে বসতেন। তাই ভাল হয়েছে পড়ে যাননি দিদি। কিন্তু ভবানীপুর যেতে যেতে নন্দীগ্রামের দিকে ঘুরে গিয়েছে আপনার স্কুটি। আমি চাই না কেউ আঘাত পান। কিন্তু স্কুটি যখন নন্দীগ্রামেই গিয়ে পড়েছে, তখন আমরা আর কী করব। এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের আগেই বিজেপি নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েই ছাড়ব।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback