একযোগে বিজেপির ফ্রন্টলাইন নেতারা এখন বাংলায়। কারণ বঙ্গে ক্ষমতা দখল এখন কেন্দ্রীয় বিজেপির পাখির চোখ। অথচ প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষোভ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। কোথাও ভাঙচুর, কোথাও অবরোধ, কোথাও আবার পার্টি অফিসে তালা লাগিয়ে দিচ্ছেন ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে গতকাল রাতে অমিত শাহ ক্ষুব্ধ হয়ে দলের অভ্যন্তরে প্রশ্ন রাখেন যে, তারা কি আদৌ পশ্চিমবঙ্গ দখলে উৎসাহী? উত্তর যাই হোক না কেন এটা প্রমান হয়ে গিয়েছে যে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব আপাতত নিজেদের হাতেই প্রচার ও প্রসারের দায়িত্ব রাখতে চাইছেন। মঙ্গলবার রাজ্যে একই সাথে একদিকে সভাপতি জেপি নাড্ডা, একদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং একপ্রান্তে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিন্দুত্বের ‘পোস্টারবয়’ যোগী আদিত্যনাথ জনসভা করছেন।
যোগী তাঁর ভাষণে পরিষ্কার হিন্দুত্ববাদের প্রচার সারলেন। তাঁর বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন গীতার মন্ত্র পাঠ করছেন এবং চণ্ডীপাঠ করছেন। তাঁর কটাক্ষ ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানে মমতাদিদির যেখানে অস্বস্তি হয়, সেখানে এখন প্রচারে মন্দিরে যেতে হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি নিজের এবং নিজ রাজ্যের উদাহরণ দিয়ে জানালেন যে, ‘খুব সুখে আছে উত্তরপ্রদেশ’। অপরদিকে পুরুলিয়ার বলরামপুরের সভা থেকে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলেও তোপ দাগেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অবশ্য পাশাপাশি এও দাবি করলেন, নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে বিজেপি এই রাজ্যে ক্ষমতায় এলে প্রবল উন্নতি হবে। তাঁর ভাষণ শুনে বামেদের কটাক্ষ, জিতলে উন্নতি, আর না জিতলে ?
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback