দেশজুড়ে চলছে দুদিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট। সপ্তাহের প্রথম দু’দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় এমনিতেই নাজেহাল সাধারণ মানুষ, যদিও শনি ও রবিবার ছুটির দিনের জন্য এমনিতেই বন্ধ ছিল ব্যাঙ্ক। ফলে পরপর চারদিন অচল দেশের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। মূলত ব্যাঙ্ক বেসরকরীকরণ হওয়ার জেরেই বিভিন্ন কর্মচারী সংঘঠন এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। উল্লেখ্য ব্যাঙ্কিং শিল্পে বিলগ্নিকরণের কথা বলেছেন, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। তার প্রতিবাদেই এই ধর্মঘট। এর জেরে এটিএম পরিষেবা ব্যাহত থাকতে পারে বলেই আশঙ্কা করছিলেন বিশেজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এটিএমে টাকা ফুরিয়েছে। আগামীকালও সেখানে টাকা ভরার উপায় নেই। ফলে ভোগান্তি আরও বাড়বে। অপরদিকে, বৃহস্পতিবার ধর্মঘটে নেমে সরকারি নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবেন জীবন বিমা নিগমের (LIC) কর্মী এবং অফিসারেরা। অন্যান্য বিমা সংস্থাও তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। পাশাপাশি আগামীদিনে যৌথভাবে ধর্মঘট আন্দোলনের পরিকল্পনা নিচ্ছে বিমা সংস্থাগুলির কর্মচারী সংগঠন। ইতিমধ্যেই ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চ ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ক ও বিমা শিল্পে ধর্মঘটের সমর্থনে পথে নামার কথা জানিয়েছে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, এলআইসি-তে তাঁদের হাতে থাকা শেয়ারের একাংশও বাজারে বিক্রি হবে। এর বিরুদ্ধেই আন্দোলনে নামছে কর্মচারী সংগঠনগুলি।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback