বিশ্বভারতীর ইতিহাসে এই প্রথম হতে চলেছে অকাল বসন্ত উৎসব। কারণ দীর্ঘ রীতি ভেঙে এবারই দোলের দিন নয়, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার হয়ে গেল বসন্ত উৎসব। যা শান্তিনিকেতনের ইতিহাসে নজিরবিহীন, এমনটাই দাবি শান্তিনিকেতনের বর্ষীয়ান আবাসিকদের। বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, হাতেগোনা গুটিকয়েক পড়ুয়া, শিক্ষক কর্মীদের নিয়েই এবারের বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠান চলছে। যদিও বসন্ত উৎসব নিয়ে এবারের চুরান্ত গোপনীয়তা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
জানা যাচ্ছে, বসন্ত উৎসবের সব রীতি মেনেই এই অনুষ্ঠান হচ্ছে। রীতি মেনেই শান্তিনিকেতনের গৌড় প্রাঙ্গন মঞ্চে চলছে মূল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানস্থলে ৩০০ জন ছাত্রছাত্রী সহ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী, অধ্যাপকের প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ রয়েছে। সোমবার রাত ৯টায় এবং মঙ্গলবার ভোর ৫টায় ‘বৈতালিক’ অনুষ্ঠান হল। সকাল ৭টায় বিশেষ ‘মন্দির’ও হয়েছে। এর পর সকাল ৯টায় বসন্ত উৎসবের সূচনা হয় যায়। নিয়ম মেনে এদিন সন্ধ্যা ৭টায় গৌড় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্য।
তবে এই অকাল বসন্ত উৎসব ঘিরে ক্ষোভ রয়েছে শান্তিনিকেতনের প্রবীণা আশ্রমিক থেকে শুরু করে শান্তিনিকেতনের বাসিন্দাদের, ক্ষুব্ধ প্রাক্তনীরাও। এদিন বসন্ত উৎসবে সামিল হওয়া এক ছাত্রী বললেন, গতকাল (সোমবার) রাতেই আমরা জানতে পারি যে আজ অনুষ্ঠান হবে। সেই মতো আমরা তড়িঘড়ি আয়োজন করি। একটা ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মতো হচ্ছে, তবে এটাই বসন্ত উৎসব কিনা বলতে পারবো না, আমাদের এই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। পুরো বিষয় নিয়ে মুখ খোলেনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback