পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগেই ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দুশ্চিন্তায় দেশবাসী সহ চিকিৎসক মহল। সপ্তাহের প্রথম দিন থেকেই করোনা সংক্রমণ নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ইতিমধ্যেই। তিন-চার মাস কমের দিকে থাকলেও ফের আগের মতোই হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের, সেই সঙ্গে কর্নাটক, তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, ছত্তীসগঢ়, গুজরাত, হরিয়ানাতেও দিনে দিনে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলেন ৪৬ হাজার ৯৫১ জন। যা গত চার মাসে সর্বাধিক। এই ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ২১২ জনের। সুস্থতার হার অনেকটাই কমেছে। এই মুহূর্তে দেশে করোনা আক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৬ জন। বোঝাই যাচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে তাল সামলাতে পারছেনা ভারত। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ লাখ ৬২ হাজার মানুষকে কোভিড টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
গতবছর এইসময় দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পরে দেশজুড়ে। এরপরই প্রায় কয়েকমাস টানা লকডাউন জারি করা হয়েছিল। এরপর চলতি বছরের শুরুতে জোড়া ভ্যাকসিন আনলেও কিন্তু সুরাহা মিলছে না বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। মরসুম বদলের কারণে ফের বাড়ছে সংক্রমণ। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে আমজনতার। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি দেশে মৃত্যু হয়েছিল ২২৮ জনের। তার পর থেকে দৈনিক মৃত্য কমতে কমতে নেমেছিল ১০০-র নীচে। ফের আবার আগের জায়গায় চলে এসেছে দৈনিক মৃত্যুর হার। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র, গুজরাত, পাঞ্জাবে নতুন করে আংশিক লকডাউন শুরু হয়েছে। কোথাও কোথাও নাইট কারফিউ জারি করে সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রশাসন। তবুও কমার লক্ষণ নেই করোনা সংক্রমণ।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback