আহত তৃণমূল নেত্রী এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ণ ওয়ার্ডের সাড়ে বারো নম্বর কেবিনে চিকিৎসারত রয়েছেন। ভোট প্রচারে গিয়ে আচমকা আঘাতে তৃণমূলের প্রচার কর্মসূচিই প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছিল। বৃহস্পতিবারই তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের কথা থাকলেও সেটা পিছিয়ে যায়। যদিও দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্য তৃণমূল নেত্রী একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তৃণমূল সুত্রে খবর, পায়ে চোট নিয়েই তৃণমূল নেত্রী ভোট প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী শনিবার অর্থাৎ ১৩ মার্চ থেকেই প্রচারের জন্য জেলা সফরে বেরিয়ে পড়তে পারেন তৃণমূল নেত্রী। ওই দিন পুরুলিয়া জেলায় প্রচার করবেন। পরদিন যাবেন বাঁকুড়া।
যদিও এদিনের ভিডিও বার্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, প্রয়োজনে হুইল চেয়ারে বসেই তিনি প্রচারে বেরিয়ে পড়বেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, ১৩ মার্চ পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি এবং বলরামপুরে জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৪ মার্চ তিনি যাবেন বাঁকুড়ায়, জনসভা করবেন শালতোড়া, ছাতনা এবং রায়পুরে। এর পরদিন মুখ্যমন্ত্রী যাবেন ঝাড়গ্রামে। ১৬ মার্চ তিনি জনসভা করবেন পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুণ্ডা, গরবেতা এবং কোশিয়ারিতে। পরদিন ১৭ মার্চ তিনি ফের যাচ্ছেন পূর্ব মেদিনীপুরে। এবার এই জেলার এগড়া, পটাশপুর এবং তমলুকে জনসভা করবেন। তাঁর জেলা সফরের শুরু হবে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি বিধানসভার ঝালদা থেকে।
তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, দলনেত্রীর জঙ্গলমহল সফরসূচি পূর্ব নির্ধারিতই ছিল। তিনি এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে চাইছেন। তবে তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা বলছেন সবটাই নির্ভর করছে চিকিৎসকদের ছাড়পত্রের ওপর। এদিন কালীঘাটে সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক বসেছিল। সেখানে ঠিক হয়েছে, শুক্রবার রাজ্য জুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলার ঘটনা সামনে রেখে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে। মৌন মিছিল করবে তৃণমূল কংগ্রেস।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback