বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারের সময় আহত হন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনা নিয়ে রাত থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে নন্দীগ্রামে। বৃহস্পতিবার সকাল হতেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই দাবি করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে। চার-পাঁচজন মিলে গাড়ির দরজায় ধাক্কা দিয়েছিলেন। তাতেই তাঁর চোট লাগে, আপাতত এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু নন্দীগ্রামে উত্তেজনা থামার লক্ষণ নেই। এদিন সকাল থেকেই দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। সকালে ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
অকুস্থল বিরুলিয়া বাজারেই চলে বিক্ষোভ কর্মসূচি। তৃণমূলের একাধিক নেতাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। এরপরই বিজেপি নেতা কর্মীরাও সেখানে হাজির হন। তাঁরাও দাবি তোলেন, সবটাই সাজানো। যুযুধান দুই পক্ষ মুখোমুখী হতেই উত্তেজনা ছড়ায় নতুন করে। শুরু হয় ঝামেলা। এরপর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। পরে পুলিশ ও নেতাদের উদ্যোগে ঝামেলা থামে। তবে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। নন্দীগ্রাম ছাড়াও বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে তৃণমূলের বিক্ষোভ-অবরোধ। ফলে নিত্যযাত্রীদের চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছে।অপরদিকে, মমতার নিরাপত্তা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে গোটা বিষয় নিয়েই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচনী দফতর থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান জেলাশাসক বিভু গোয়েল এবং পুলিশ সুপার প্রবীন প্রকাশ। যান ডিআইজি মেদিনীপুর রেঞ্জ কুণাল আগরওয়ালও। তাঁরা ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ঘটনার সময়ের ছবি ও ভিডিয়ো সংগ্রহ করেন। এর পর ডিআইজি কুণাল আগরওয়াল জানান, ‘ঘটনার সময় এখানে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। ফলে কেউ ঠিক মতো কিছু দেখতে পায়নি। আমরা ভিডিয়ো ও ছবি সংগ্রহ করে বিস্তারিত জানান চেষ্টা করছি’। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে চুরান্ত রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে জমা পড়বে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback