১৯৮৪ সালে জীবনে প্রথম নির্বাচনে দাঁড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তও লোকসভায়। শোনা যায় সুব্রত মুখোপাধ্যায় তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন রাজীব গান্ধির কাছে। প্রথম ভোটেই বাজিমাত করেন মমতা। এরপর রাজীব গান্ধির স্নেহধন্যা হিসেবে রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী হন। এবং সেই সময় থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত প্রদেশ কংগ্রেসে মমতা একটি গোষ্ঠীর নেত্রী হয়ে ওঠেন। যাদের সিংহভাগই আজকের তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও ১৯৮৯ সালের নির্বাচনে মমতা সিপিএমের মালিনী ভট্টাচার্যের কাছে পরাজিত হন। তারপর ১৯৯১ সালের লোকসভায় মমতা ফের দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী হন। এবং ২০০৯ অবধি সেখানেই জিতে আসেন নিয়মিতভাবে। কিন্তু কোনও দিন মমতা তাঁর নিজের কেন্দ্রে একবারের বেশি প্রচার করেন নি। বরং গোটা রাজ্যেই দলের হয়ে প্রচার করে বেরিয়েছেন।
কিন্তু এই বারের লড়াই বেশ কঠিন মমতার কাছে। বিশাল শক্তির বিরুদ্ধে তাঁকে লড়তে হচ্ছে। এক ডজনের বেশি বিজেপি নেতা নন্দীগ্রামে নিয়মিত প্রচার করছেন। বিপক্ষেও রয়েছেন নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী। তাই ভোটের প্রচারে বার বার ছুটে গিয়েছেন মমতা। শেষ বেলার প্রচারেও শেষ দুই দিন নন্দীগ্রামের আচানে কানাচে ঘুরলেন হুইল চেয়ারে বসেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আধা ডজন জনসভা ইতিমধ্যে করে ফেলেছেন। শুধু নন্দীগ্রামে তিনি রয়েছেন তিন দিন ধরে | থাকবেন ভোটের দিন অবধি। যা কার্যত মমতার স্বভাব বিরুদ্ধে বলেই মনে করছেন বাংলার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে কি নিজের জয় নিয়ে সন্দেহে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী? উত্তর মিলবে আগামী ২ মে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback