রাজনৈতিক চরিত্র সম্পর্কে প্রখ্যাত সাহিত্যিক বার্নার্ড শ একদা বলেছিলেন, শয়তানের শেষ ভরসা 'রাজনীতি’। তাঁর এই মন্তব্য অবশ্য সর্বক্ষেত্রে সত্যি নয়, কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে সত্যিও বটে। খুব ঢাক ঢোল পিটিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা বিপ্লব মিত্র বিজেপিতে যোগ দেন। এবং হলে পানি না পেয়ে ফিরেও এলেন তৃণমূলে, বর্তমানে তিনি তৃণমূলের টিকিট পেয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বিজেপিতে গিয়েছেন এবং সেখানে আমল না পেয়ে ফিরতে চাইলেন পুরোনো দলেই। গেলেন মমতার সভায় কিন্তু তাঁর দুর্ভাগ্য 'দিদি' তাঁর দিকে তাকালেনও না। প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন উপমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা এই সেদিন বিজেপিতে গেলেন কিন্তু এলাকার সমর্থনই পেলেন না ফলে তৃণমূলে ফিরতে তদবির করছেন বলেই জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে হাই প্রোফাইল শোভন চট্টোপাধ্যায়, প্রথম থেকেই বিজেপিতে গিয়ে নানান শর্ত এবং বান্ধবী বৈশাখীকে সম্মান ও প্রার্থী করার বিষয়ে উদগ্রীব ছিলেন। কিন্তু তাঁর আশায় জল পড়ায় 'যুগলে' দলই (বিজেপি) ছেড়ে দিলেন। এখন প্রশ্ন উঠেছে শোভনবাবু কি ঘরে (তৃণমূল) ফিরতে চান? সেরকম কোনও খবর নেই, কিন্তু সমালোচনায় যাচ্ছে না তৃণমূল মুখপাত্র। ক্রিকেটের রিভার্স সুইংএর কথা মনে করিয়ে দেয়। বলটি ডান দিকে যেতে গিয়ে বাঁ দিকে চলে যাওয়াকেই তো রিভার্স সুইং বলে। বর্তমান বঙ্গ রাজনীতিতে সেই রিভার্স সুইংয়ের খেলাই চলছে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback